মালয়েশিয়া প্রবাসী শওকত বাঁচতে চায়

পিবিএ,মালয়েশিয়া: অন্যান্য দিনের মতো-ই ১৭ই আগষ্ট সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন শওকত। কিন্তু অন্য দিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফিরতে পারেনি সে, ফ্যাক্টরিতে কাজের সময় দূর্ঘটনায় মাজা ভেঙ্গে হাসপাতালের বিছানায় ঠাঁই হয় শওকতের।

বর্তমানে মালয়েশিয়ার প্রসাশনিক রাজধানী পুত্রাজায়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ শওকত। যখন-ই একটু কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে তখন-ই যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকা শওকত জানাচ্ছেন বাঁচার আকুতি।

মালয়শিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের অদূরে সেরডাংয়ের একটি ফ্যক্টরীতে কাজ করা অবস্থায় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে কোমরে গুরুতর আঘাত পায় শওকত। সেরডাং হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি পুত্রাজায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন হয়তো অপারেশনের মাধ্যমে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে, তবে কখন-ই আর ভারি কাজ করতে পারবে না সে।

এই মুহূর্তে শওকতের অপারেশনের জন্য প্রয়োজন ৩০ হাজার রিঙ্গিত (৬ লাখ টাকা) এর মধ্যে বাড়ি থেকে আত্মীয় স্বজনরা ধার দেনা করে ১৭ হাজার রিঙ্গিত পাঠিয়েছে। আরও প্রয়োজন ১২ হাজার ৩’শ রিঙ্গিত। বর্তমানে তার আর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি মালয়েশিয়া কমিউনিটি ও সারাদেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।

শেখ মোহাম্মদ শওকত ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তারাও আর তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন না। সমাজের বিত্তবানদের কাছে তারাও শওকতের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। তাদের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে পাশে দাঁড়িয়েছেন মালয়েশিয়া শ্রমিকলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, জোহর বাংলাদেশ কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক এম জে আলম।

সকলের সহযোগিতায় শওকত হয়তো আবারও ফিরে আসতে পারবে তারা বাবা-মা আর স্ত্রী-সন্তানদের কাছে। প্রবাস এবং দেশের স্বহৃদয়বান ব্যক্তিরা শওকতের জন্য সাহায্য পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়। (মেহের শেখ, বিকাশ পারসোনাল-০১৭৪১-১৮৫৮২১), (মালয়েশিয়া- Account No: 05150306958, HongLeong Bank, Mohammad Abdul Kader)

পিবিএ/কায়সার হামিদ হান্নান/এমএসএম

আরও পড়ুন...