জেনে নিন ডায়েট নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

পিবিএ ডেস্ক: অনেক চেষ্টা করছেন। ওজন আর কমছে না। ডায়েট এর নামে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে বিসর্জন দিচ্ছেন আপনার প্রিয় খাবারগুলো। তবু ব্যর্থতা গ্রাস করছে আপনার প্রচেষ্টাকে। কেন হচ্ছে এমনটা? ডায়েট এর ভুল তথ্যই এর জন্য দায়ী। কেন? তাহলে জেনে নিন:

০১. গরম জল: আমরা ভাবি গরম জল খেলে বুঝি ওজন কমে। একেবারে ভুল। গরম জল খাবার হজম করতে সাহায্য করে। খাবার পরে গরম জল খেলে বেশ ভাল লাগে। হালকা বোধ হয়। কিন্তু ফ্যাট কমাতে পারে না। গরম জল দিয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙা অসম্ভব।

০২. হাই এনার্জি ড্রিংক: বাজারে ডায়েট এর নাম করে নানা ধরণের হাই এনার্জি ড্রিংক বিক্রি হয়। আমরা মনে করি, ওয়ার্ক আউট এর আগে ও পরে এই ড্রিংক নেওয়া ভীষণ জরুরী। অথচ এই ধারণা একেবারেই ভুল। বোতলবন্দি ও প্রিজারভেটিভ দেওয়া এই পানীয় একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিৎ। সাধারণ তাপমাত্রার বিশুদ্ধ জল পান করুন। পুষ্টিকর খাবার খান।

০৩. ডায়েট পিল: ওজন কমাতে ডায়েট পিল নিচ্ছেন? সর্বনাশ! এগুলি হতে পারে আপনার মাথাব্যথা, অনিদ্রা, বা উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এমফিথেটামাইন নামক এক ধরণের উদ্দীপক থাকে এতে । সাময়িক ওজন কমলেও, পরে এর (পিল) প্রভাব আর থাকে না।

০৪. হেলদি ফুড: ডায়েট এর জন্যে হেলদি ফুড খাওয়া জরুরী তা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। তবে সমান জরুরী কতটা খাবো সেই পরিমাণটা ঠিক করে নেওয়া। অধিকাংশ সময়েই আমরা ভাবি হেলদি খাবার যত খুশি খাওয়া যায়। কিন্তু তা একেবারেই ভুল। যে কোনো খাবার খাওয়ার সময় খানিকটা জায়গা ছাড়তে হবে পেটে। আবার না খেয়ে থাকাটাও কোনো কাজের কথা নয়। সব ধরণের খাবার খান। তবে খেতে হবে আপনার ক্ষমতা বুঝে।

০৫. পারফেক্ট ফিগার: পারফেক্ট ফিগার এর স্বপ্ন দেখছেন? পারফেক্ট ডায়েট করুন। তবে যে ধরণের ডায়েটই আপনি করুন না কেন আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে পুষ্টির ঘাটতি। দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে এই ডায়েট হয়তো আপনার কোনো কাজেই লাগল না। ডায়েট শেষে আপনি হয়তো আরও মোটা হয়ে গেলেন। তাই লো-ফ্যাট, ও লো-সুগার ফুড প্ল্যান করুন। ফল, সবজি ও দানাশস্য খান। সঙ্গে এক্সারসাইজ করুন।

০৬. ফল ও সাক সব্জি: ওজন কমাতে ফল ও সব্জি খান। তবে বেশি নয়। গোটা ফল কামড়ে খান। ফলের রস বাদ দিন। ভেজিটেবল জুসের বদলে স্যালাড খাবেন। তবে বেশি খেলে সেগুলিই ফ্যাট আকারে জমা হবে আপনার শরীরে।

০৭ হাই-প্রোটিন: যারা এক্সারসাইজ না করেও ওজন কমাতে চান তারা প্রচুর প্রোটিন খাবেন এমনটাই বিশ্বাস করি আমরা। ভুলে যান। অতিরিক্ত প্রোটিন ক্ষতি করতে পারে কিডনির। ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। আবার অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে ফ্যাট হিসেবেও সঞ্চিত হয়। যতক্ষণ না আপনি প্রচুর পরিশ্রম বা এক্সারসাইজ করছেন এই ফ্যাট ভাঙবে না।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...