প্রথম ফুসফুসের পর এবার জ্বলছে পৃথিবীর ‌“দ্বিতীয় ফুসফুস”

পিবিএ ডেস্ক: ব্রাজিলের আমাজনের জঙ্গলের আগুন নিয়ে উৎকন্ঠায় সারা বিশ্ব। শুধু আমাজনের যে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে, তেমনটা নয়। এবার মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কঙ্গো বেসিনের জঙ্গলও দাউ দাউ করে জ্বলছে। সম্প্রতি নাসার উপগ্রহ-চিত্রে ধরা পড়েছে সেই ছবি। এতে দেখা গেছে, ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে আফ্রিকার কঙ্গো বেসিনের জঙ্গল। আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমাজনের পরে এটিই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেন ফরেস্ট। আমাজনকে ‌‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলা হয়। আর কঙ্গোর এই জঙ্গলকে পৃথিবীর ‘দ্বিতীয় ফুসফুস’ বলে অভিহিত করেন পরিবেশবিদরা। প্রথম ফুসফুসের পর এবার ভয়াল আগুনের গ্রাসে পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস।

পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস

চলতি সপ্তাহে আমাজনের আগুন নিয়ে আলোচনায় সরগরম হয়ে ওঠে ফ্রান্সের জি-৭ আন্তর্জাতির সম্মেলন। আমাজনের আগুন নেভাতে ব্রাজিলকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাবও দেয় বিশ্বের সাতটি দেশ। কিন্তু সেই সাহায্য গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়েই টুইটারে ব্রাজিলের পাশাপাশি আফ্রিকার জঙ্গলের আগুন নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। পরিবেশবিদদের মতে, আমাজনের জঙ্গলের আগুন ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করায় এখন তা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বজুড়েই ক্রমাগত জঙ্গলে আগুন লাগানোর মাধ্যমে জমি দখল চলছে। নিরক্ষরেখা অঞ্চলের জঙ্গলেই এই ধরনের আগুনের সংখ্যা বেশি। জঙ্গল ধ্বংস করে সেই অঞ্চল চাষজমি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলির মদদ।

গত ৪৮ ঘণ্টায় উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, অ্যাঙ্গোলাতে জঙ্গলে প্রায় ৬ হাজার ৯০২টি স্থানে আগুন জ্বলছে। কঙ্গোতে প্রায় ৩ হাজার ৩৯৫টি স্থানে জ্বালানো হয়েছে আগুন। ব্রাজিলের আমাজনের জঙ্গলে প্রায় ২ হাজার১২৭টি স্থানে আগুন জ্বলছে। অর্থাৎ জঙ্গলে আগুনের নিরিখে ব্রাজিলের স্থান বিশ্বে তৃতীয়। তবে পরিবেশবিদদের মতে, ব্রাজিলের তুলনায় এখনো কিছুটা কম ক্ষতির মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গল। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...