পিবিএ,ঢাক: আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ডাকসু নির্বাচন করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গঠনতন্ত্র সংশোধন করা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে এক বৈঠক শেষে এ কথা জনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বৈঠকে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ এবং ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক থেকে সময় সকল ছাত্র সংগঠনের কে আগামী সোমবারের মধ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য লিখিত প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৈঠকে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ডাকসুর সেক্রেটারীয়েট এর সংখ্যা বৃদ্ধি, নারী প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা কেন্দ্রীক আলাদা সম্পাদকের পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।
ক্যাম্পাসের অন্যআরেক ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল দাবি করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানের পরিবশে।
সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের পর ছাত্রদল নেতারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডাকসু নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশেরই সুযোগ পাচ্ছেন না। সহাবস্থান ছাড়া এই নির্বাচন প্রহসন হবে বলেও মন্তব্য করেন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় নেতারা।
বাম সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.ফিল করা (নিয়মিত) শিক্ষার্থীদের সদস্য রাখা, দীর্ঘদিন পরে নির্বাচন হচ্ছে বিধায় একটি নির্দিষ্ট সেশন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দান, সভাপতির ক্ষমতা হ্রাস, এবং সেক্রেটারীয়েট বডির সদস্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা প্রস্তাবনা পেশ করে।
মতবিনিময় সভা শেষে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। তারা আগামী সোমবারের মধ্যে লিখিত প্রস্তাবনা জমা দিবে। এরপর বিষয়টি আমরা মাননীয় উপাচার্য বরাবর পেশ করব।’
ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা বৈঠকে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেছি। আমরা চাই সকল সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, ‘আমরা মনে করতে চাই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ ছাত্রদল নেতা বলেন, সহাবস্থ্না নিশ্চিত না হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছিলো। তাই বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে গঠনতন্ত্র দেয়ার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়। এতে করে নির্বাচন বিষয়ে সীমাবদ্ধতা কেটে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, গতবছর ১৬ সেপ্টেম্বর পরিবেশ পরিষদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের সাথে বৈঠক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।