নাইট শিফটের কাজে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

পিবিএ ডেস্ক: শিফটভিত্তিক কাজ আমরা অনেকে করে থাকি। শিফটে কাজ করালে মালিক যেমন লাভবান হয় ঠিক তেমনি কর্মীও লাভবান হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। এই শিফটভিত্তিক কাজের জন্য হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, বলছে চীনের এক গবেষণা। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘অকুপেশনাল মেডিসিন’ নামক এক জার্নালে।

কর্মক্ষেত্রে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক বিষয়ক তথ্যবহুল সেমিনারের আয়োজন করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে, যাতে হৃদরোগকে প্রাথমিক অবস্থাতেই সনাক্ত করা যায় এবং সাবধান হওয়া যায়।

চীনের উহান শহরের ‘হাহং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র গবেষকরা তিন লাখেরও বেশি মানুষের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই ফলাফল পেয়েছেন। মোট তিন লাখ ২০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে সম্পাদিত মোট ২১টি গবেষণার তথ্যাদি এবং ২০ হাজার ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’য়ের ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনা করে এই ফলাফলে এসেছেন গবেষকরা।

যারা কখনও দিনে কখনও রাতে কাজ করেন তাদেরই এই হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন কাজ যত বেশি করা হবে ঝুঁকিও ততই বাড়বে।

গবেষণার প্রধান লেখক উইহং চেন বলেন, ‘শিফট’ ভিত্তিক কাজে মালিক ও কর্মী দুজনেরই বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকে। তবে এরসঙ্গে জুড়ে থাকে কর্মীর স্বাস্থ্যহানিও। তাই প্রতিষ্ঠান মালিকদের উচিত হবে, যতটা সম্ভব ‘শিফট’ ভিত্তিক কাজের মাত্রা কমানো।’

গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা শুধু দিনের বেলা কাজ করেন তাদের তুলনায় যারা দিন-রাত বিভিন্ন ‘শিফট’য়ে কাজ করেন তাদের ‘করোনারি হার্ট ডিজিস’ হওয়ার আশঙ্কা ১৩ শতাংশ বেশি। আর প্রতি এক বছর কাজের সময় বৃদ্ধির সঙ্গে ঝুঁকির মাত্রা বাড়ে আরও এক শতাংশ।

উইহং বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান মালিক ও ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের উচিত হবে তাদের আওতাধীন কোনো কর্মীর মাঝে হৃদরোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা কিংবা কারও হৃদরোগের বংশগত ঝুঁকি আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা।’

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...