মিডিয়া দৈন্যতায় খাদের কিনারে বিএনপি

পিবিএ,ঢাকা: অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া, ইউটিউব চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিওসহ গণযোগাযোগ ও তথ্য প্রবাহের গতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিডিয়া বা গণযোগযোগ মাধ্যম নিয়ত মানুষকে বিশ্বের সব ঘটনাপ্রবাহের অংশীদার করছে। রাষ্ট্রের সীমানা, মানচিত্র ও ভৌগোলিক দূরত্ব এখন মিডিয়ার হাতের মুঠোয়। মিডিয়ার শক্তির অবাধ ব্যবহার বিশ্বের প্রচলিত ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে নাড়া দিচ্ছে। রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, টেলিফোন, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট এর ক্রমাগত বিকাশ গণমাধ্যম জগতকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।

এক কথায় বর্তমান যুগ মিডিয়ার যুগ। এই মিডিয়ার যুগ বিশ্বকে ধাবিত করছে প্রচন্ড গতিতে, ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করছে রাষ্ট্র, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্র। স্নায়ুযুদ্ধ, অর্থনৈতিক যুদ্ধ, অস্ত্রযুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন সাধনের ক্ষেত্রে মিডিয়াকে দেখা যাচ্ছে এক অপরিহার্য মাধ্যম হিসেবে। এর ব্যবহার-অপব্যবহার নিয়েও চলছে গবেষণা, আলোচনা-পর্যালোচনা। এ সময়ে যে কোন দেশের রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের মিডিয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করা খুবই জরুরী। ক্ষমতার পালাবদলের রাজনীতি তথা নির্বাচনে জেতার কৌশল থেকে শুরু করে আন্দোলন-সংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন প্রক্রিয়ায় মিডিয়ার ব্যবহার কিভাবে সর্বোত্তম প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে তা নিয়েও বিশদ গবেষণা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই।

বর্তমান জামানায় রাজনৈতিক দলের জন্য সংবাদমাধ্যমকে প্রাধান্য না দেওয়া মানে সে দলের অস্তিত্বহীনতার দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। জনমত গঠন করতে, নিজেদের পথ চলায় মানুষকে সহযোগী করতে, একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাধারণ জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে মিডিয়াই যে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম তা এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। আপামর জনসাধারণ ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার কাজটি মিডিয়ার মাধ্যমেই যে কার্যকরভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ কম। তার ওপর এই মিডিয়াবান্ধব রাজনীতিটা যদি ধারাবাহিকভাবে করা না যায় তাহলে যে কোন রাজনৈতিক দল সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। আর এই জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিণাম যে কত ভয়াবহ হতে পারে সেটা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

সংবাদপত্র হচ্ছে আধুনিক প্রচার মাধ্যমের অন্যতম মূল বাহন। পরে রেডিও এবং গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে টেলিভিশন। আরও পরে একুশ শতকে এসে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ভর করে অনলাইন গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এতসব আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকা সত্তে¡ও প্রচার মাধ্যম হিসেবে সংবাদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতির ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের কার্যকর প্রভাব প্রশ্নাতীত।

বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ২০০১ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর বছর খানেকের মাথায় এক সমীক্ষায় জানানো হয়, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয সংবাদপত্রের ৭০ শতাংশ সংবাদই বিএনপি-বিরোধী। অন্য কথায়, উল্লেখযোগ্য পাঠক আছে এমন সংবাদপত্রের দুই-তৃতীয়াংশেরই সম্পাদকীয় অবস্থান বিএনপি’র বিরুদ্ধে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি পত্রিকা শতভাগ বিরুদ্ধে, দুটি শতকরা ৮০ ভাগ বিরোধী, দুটির বিরোধিতা ৭০ ভাগ, একটির ৬০ ভাগ, একটির ৫০ ভাগ এবং দিনকালের ০ ভাগ। শীর্ষস্থানীয় এ ১০টি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ধারাবাহিকভাবে বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল পাওয়ার কথা জানানো হয় সমীক্ষা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এ দেশের ফোর্থ স্টেট-এর বৈরিতার মুখে থাকছে প্রতিদিন। এটা নিঃসন্দেহে তাদের জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা নয়, হতে পারে না।’

দেড় যুগ আগের ওই চিত্রের খুব একটা পরিবর্তন যে হয়নি তা বলা বাহুল্য। একটি উদাহরণ দিলেই তা বুঝা যাবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হয়েছে দলটি এবং তার শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে। এর বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও দলটির শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে। বিডি ফ্যাক্টচেক- নামক সংবাদসূত্র ও সত্যতা যাচাইকারি সাইটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে। বিএনপির বিরুদ্ধে এসব নেতিবাচক সংবাদ যে কেবলমাত্র অনলাইনে সীমাবদ্ধ ছিল তাই নয়, শীর্ষ স্থানীয় কোন কোন দৈনিকও প্রকাশ করেছে ফলাও করে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে এর তেমন জোরালো কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে দেখা যায়নি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগের এক বছর ধরে মুলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোট ৫০টি রাজনৈতিক ভুয়া সংবাদ চিহ্নিত করে বিডি ফ্যাক্টচেক। এর মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ১১টি, বিএনপিকে নিয়ে ১২টি, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ১২ টি, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ৪টি, তারেক রহমানকে নিয়ে ৬টি, সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে একটি এবং অন্যান্য দল ও ব্যক্তিকে নিয়ে ৪টি ভুয়া সংবাদ চিহ্নিত করা হয়েছে। বিএনপিকে নিয়ে যে ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হয়েছে তারমধ্যে নয়টি বিএনপির জন্য নেতিবাচক ও তিনটি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ বলছে, বিএনপি’র মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সমর্থন এখন মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। বৈরী মনোভাবাপন্ন পাঠকপ্রিয় কোন সংবাদপত্র বিএনপি নিজেদের সমর্থনে আনতে পারেনি বা এ ধরনের কোন পত্রিকা নিজে থেকে বিএনপিকে প্রয়োজনীয় সমর্থন দিচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপি’র নীতিনির্ধারকরা নিজেরাও পাঠকপ্রিয় ও জনমত প্রভাবিত করতে পারে এমন পত্রিকা প্রকাশ করতে সমর্থ হয়নি। বিএনপিতে এ ধরনের পত্রিকা প্রকাশের সামর্থ্যবান কেউ নেই এটা মনে করার কারণ নেই। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থন নিয়ে বার বার ক্ষমতাসীন দলটির মিডিয়া দৈন্য ধীরে ধীরে দলটিকে গভীর খাদের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে।

গত এক দশকের মিডিয়া ট্র্যান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, দৈনিক আমার দেশ ২০১৩ সালে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত পাঠকপ্রিয় সংবাদপত্র হিসেবে বিএনপি’র পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক নয়াদিগন্ত ও দৈনিক ইনকিলাব জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থী ঘরানার বহুল প্রচারিত পত্রিকা। এর বাইরে জনমত প্রভাবিত করার মত কোন সংবাদপত্র চলমান দুঃসময়ে বিএনপি’র পাশে দাঁড়ায়নি। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চিত্রও প্রায় একই রকম। বন্ধ হওয়ার আগে দিগন্ত টিভি ও চ্যানেল ওয়ান বিএনপি ঘরানার হিসেবে পরিচিতি পায়। এছাড়া বাংলাভিশন, এনটিভি বিএনপি’র প্রতি সহানুভূতিশীল প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা পালন করেছে এবং করছে। তবে প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষুর কাছে বিএনপি’র আমলে অনুমোদন পাওয়া চ্যানেলগুলো অসহায় হয়ে পড়ে এবং দলের ক্রান্তিকালে তেমন কোন কাজে আসেনি, আসছেও না।

বিএনপি’র নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে মিডিয়ার যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় উৎসাহ ও নির্দেশনা দিলে কয়েকটি পাঠকপ্রিয় সংবাদপত্র প্রকাশ করা যেত না এমনটা বিশ্বাস করতে চাইছেন না দলটির প্রতি সহানুভূতিশীল গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনরা। বরং এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেভাবে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে দৈনিক দেশ এবং উত্তরাঞ্চলের পাঠকদের জন্য রাজশাহী থেকে দৈনিক বার্তা প্রকাশ করেছিলেন পরবর্তী নেতৃত্ব তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি। রাষ্ট্রপতি জিয়া সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্টদের বঙ্গভবনে ডেকে প্রায়ই চায়ের টেবিলে দেশ নিয়ে, তার চিন্তাধারা নিয়ে মতবিনিময় করতেন, পরামর্শ চাইতেন এবং সে মতে পদক্ষেপ নিতেন। তাঁর উত্তরসূরীরা সে ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে বিরোধী মতের সংবাদপত্র ও টেলিভিশন বেশী থাকায় সেখানে বিএনপি বিরোধী ও বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য সংবাদ, সংবাদ ভাষ্য, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় নিবন্ধের সংখ্যাও বেশি। রুচিহীন, আক্রমণাত্মক, অসত্য ও অশালীন প্রতিবেদন ও নিবন্ধ বিএনপি’র বিরুদ্ধে প্রকাশ ও প্রচার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিএনপি’র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়ে কোন সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিক বিপদগ্রস্ত হলে, সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির পক্ষে দলটি শক্তি সামর্থ্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে এমন উদাহরণ বিরল। বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আক্রান্ত হলে, মামলা-হামলায় জর্জরিত হলে বিএনপি প্রতিবাদ বা সহানুভূতি জানানোর তাগিদ অনুভব করেছে খুব কম ক্ষেত্রে। যদিও ওই সংবাদের বেনিফেসিয়ারি হয়েছে বিএনপি। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ তাদের মতাদর্শের সাংবাদিক বিপদগ্রস্ত হলে সর্বাত্মকভাবে তার পাশে দাঁড়ানোর অসংখ্য নজীর রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি তাদের সমমনা সাংবাদিকদের মূল্যায়নে ছিল কুন্ঠিত। বরং প্রতিপক্ষ ঘরানার সাংবাদিকদের অতিমাত্রায় তোয়াজ করা, সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, বিদেশ ভ্রমনে সঙ্গী করার প্রবণতা দেখা গেছে। বিএনপি সরকারের মিডিয়া দেখভালের দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগই মূলধারার সাংবাদিক ও মিডিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ফলে দলের ও সরকারের স্বার্থ দেখার পরিবর্তে তারা ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এতে দল হিসেবে বিএনপি এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে মিডিয়ার। ফলাফল যাই হওয়ার তাই হয়েছে। ১৯৯১ থেকে ’৯৬ শাসনামলের শেষ দিকে তত্ত্ববধায়ক ইস্যুতে বিএনপি মিডিয়া বৈরিতার শিকার হয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে। আবার ২০০১-২০০৬ শাসনামলেও বিএনপি ডুবেছে মূলত মিডিয়াতে বন্ধুহীন হওয়ার ফলশ্রুতিতে। আর নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র অবস্থানের পক্ষে কোন প্রভাবশালী মিডিয়াকে দাঁড় করাতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে করুণভাবে। পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ একদিকে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা, প্রণোদনা দিয়ে, অন্যদিকে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মিডিয়া কব্জা করে টিকে আছে।

জনমত গঠনের ক্ষেত্রে যাদের লেখা প্রবল প্রভাব ফেলে তাদের বেশির ভাগই বিএনপি’র মতাদর্শগত শত্রু। ফলে কারণে অকারণে বিএনপিকে তারা একহাত নেন, অযাচিত নসীহত করেন। খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করার দুরভিসন্ধি চরিতার্থ করেন। এর জবাবে বিএনপি ঘরানার অনেক জনপ্রিয় ও দক্ষ লেখক থাকলেও দলটির পক্ষ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও মূল্যায়ন না পেয়ে ক্ষোভে-হতাশায় তারা হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে ভয়ে, আতঙ্কে কুঁকড়ে গেছেন। এদেরকে পেছন থেকে সাহস যুগিয়ে, আশা-ভরসা দিয়ে, সম্মান-মূল্যায়ন করে লেখালেখিতে ধরে রাখার কোন উদ্যোগ নেই বিএনপি’র পক্ষ থেকে। এতে করে বিএনপি দিনে দিনে সাংবাদিক-কলামিস্ট অঙ্গনে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাজনৈতিকভাবে দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকে অনিশ্চিত করে তুলছে কিনা ভেবে দেখার সময় এসেছে।

লেখক : এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক, মহাসচিব, বিএফইউজে

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...