পিবিএ, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কান্দাকুল গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে উপজেলা আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হারুন মাস্টার ও ময়না ইউপি (১নং ওয়ার্ড) সদস্য আক্তার মেম্বারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। রোববার আক্তার মেম্বার গ্রুপের লোকজন বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেয়ে রাতে সাউন্ড বক্স বাজায়। অপর গ্রুপ হারুন মাস্টারের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাউন্ড বক্স বাজাতে নিষেধ করে। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার ভোরে দেশীয় অস্ত্র ও ঢাল-সড়কি নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় সংঘর্ষে আহত হয় ৩০ জন। আহতদের মধ্যে বাকী বিশ্বাস, আবুল খায়ের (৫৫), হানিফ বিশ্বাস (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৩০), ইয়াসিন বিশ্বাস (১৮), ফারুক বিশ্বাস (৩৫), জহির বিশ্বাস (৩৫), আবুল হোসেন (৫০), সুজন, বিশ্বাস, বাসি বিশ্বাস, নওশের বিশ্বাসকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শাহাদত হোসেন, বাদশা বিশ্বাস (৬৫), আলামিন শেখ (১৯), হাকিম বিশ্বাস, জিহাদ বিশ্বাসকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যপারে আক্তার মেম্বার বলেন, রোববার রাতে আমার লোকজন সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিলো। হারুন মাস্টারের লোকজন সাউন্ড বক্স বাজানোর ঘটনায় অর্তকিত হামলা করে আমার লোকজনকে মারধর করে আহত করে।
হারুন মাস্টার বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার সকালে আক্তার মেম্বারসহ তার লোকজন আমার লোকজনের উপরে অর্তকিত হামলা করে। হামলায় আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়।
এ ব্যাপারে উপপুলিশ পরিদর্শক আশুতোষ ভৌমিক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করি। এখন কোন পক্ষই এলাকায় নাই। থানায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
পিবিএ/সুমন খান/জেডআই