পিবিএ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে গেরুয়া হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। সংস্কৃতি অঙ্গণ, পুজা ক্লাব-কমিটি বাদ পড়েনি কিছুই। দেবীর কাঠামো তৈরির দিন থেকেই পুজা নিয়ে রাজনৈতিক রেশারেশি। সঙ্গে শুরু হয়েছে পুজা কমিটিগুলির ক্ষমতা দখলের লড়াই। কলকাতার মোটা বাজেটের দুর্গাপুজাগুলির দিকে শকুনের চোখ রয়েছে। তবে হাইজ্যাক করার চেষ্টা করেও কোনো সাফল্য আসেনি বিজেপির ঘরে। তাই এবার গণেশ পুজার দিকে নজর দিয়েছে পদ্ম শিবির। সেখানেও ফলপ্রসূ কিছু হয়নি। কারণ সেসব পুজা উদ্বোধনে এখনও ডাক আসছে তৃণমূল সাংসদদেরই। আর সেই তালিকায় রয়েছেন মিমি-নুসরাতও।
দুর্গাপুজা কমিটিগুলিতে ক্ষমতাপ্রয়োগের পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবিরের সাফল্য সেরকম আসেনি। বরং পুজা উদ্বোধনে ডাক আসছে একচেটিয়া তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের। গণেশ পুজার ক্ষেত্রেও সেরকমই পরিকল্পনা রেখেছিলেন রাজ্যের বিজেপি শিবির। ক্ষমতা হস্তান্তরের চেষ্টা বৃথাই গেছে। বরং চমকপ্রদভাবে এবার গণেশ পুজার উদ্বোধনে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই তারকা সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহানের। এরমধ্যে সল্টলেক পিএনবিতে যুব সংঘের গণেশ পুজার উদ্বোধন করবেন মিমি ও নুসরাত। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পুজ উদ্বোধনে যুব সংঘে উপস্থিত থাকবেন যাদবপুর এবং বসিরহাটের দুই মহিলা সাংসদ।
শোনা যায়, মিমি এবং নুসরাত ছাড়াও শহরের বিভিন্ন গণেশ পুজার উদ্বোধন বা দায়িত্বে রয়েছেন একাধিক শাসক নেতা। অপরদিকে, গণেশ পুজার পর বিভিন্ন পুজা কমিটির পক্ষে উদ্বোধনের জন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার কথায়, ‘শহরের অনেক পুজা কমিটি প্রতিমা উদ্বোধনের জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের চাইছেন। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার নামও রয়েছে সেই তালিকায়।’ শহরের বাছাই করা কিছু পুজা কমিটি তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে ক্ষমতান্তরের কৌশল রপ্ত করেছে বিজেপি। যদিও এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের এই কৌশল উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি।
পিবিএ/এমআই