রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষার অন্ধকারময়, বিশৃঙ্খলার দৃশ্যবিবরণী

Primary-Teacher
প্রতীকী ছবি

পিবিএ, রাজশাহী: রাজশাহী প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অন্ধাকারময়, বিশৃঙ্খলার দৃশ্যবিবরণীর অভিযোগ উঠেছে। জেলার সকল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম চলমান রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা দপ্তর, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, ইউএনও, জেলা শিক্ষা দপ্তর, জেলা প্রশাাসক, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, সচিবালয়, ডিজি, শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা। অথচ সব চেয়ে বেশি অনিয়ম চলমান রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে।

বর্তমান এজেলায় ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮শত ৪২জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ওই সকল শিক্ষার্থীদের ১১শত ৫৭টি বিদ্যালয়ের মাধ্যমে দশ হাজার ৪শত ৪৪জন শিক্ষক পাঠদান দিচ্ছে। তবে শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথ নয়।

বর্তমান সরকার এদেশকে ডিজিটালাইজ করনে কাজ করে যাচ্ছেন। যার শিক্ষা একটি বড় অংশ। প্রতি বছর সরকার শিক্ষা দপ্তরে একটি বড় অংকের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বরাদ্দর্কৃত অর্থের বিনিময়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুযোগ সুবিধাসহ আধুনিক কৌশলে শ্রেনীতে পাঠদান করার নির্দেশনা আছে। কিন্ত তার প্রমান অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গনমাধ্যমকে বলে, ডিজিটাল ক্লাস সম্বন্ধে তাদের কোন ধারনা নেই। কম্পিউটার বা মোবাইল ট্যাব দিয়ে শিক্ষা অর্জন করা যায় এটা তাদের কাছে আকাশ কুসুম কল্পনার মত। সর্বপরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বৈদ্যুতিক যন্ত্র বিষয়ে কিছুই জানে না।

প্রসঙ্গত, অভিভাবকগন বলেন, যারা জেলা বা উপজেলার স্থানীয় শিক্ষক তাদের অন্যত্র জেলায় বদলি করা উচিত। কেন না তারা নিজ এলাকায় বসবাস করে শিক্ষা ব্যবস্থার সুনাম নষ্ট করছেন এবং সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। কেন না শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ে কোন অভিযোগ করলে অভিযুক্ত শিক্ষকরা তাদের স্থানীয় পেশি শক্তি, রাজনৈতিক ক্ষমতা এছাড়া উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় শিক্ষকরা নিজ নিয়মে চলছেন।

সরকারী নিয়ম মতে তারা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন কিন্ত পাঠদানের সময় নানা অযুহাত। সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া কম্পিউটার যে যার মত ব্যবহার করছেন। নামে ডিজিটাল, কাজের বেলাই কিছুই থাকে না বিদ্যালয়ে। বিভিন্ন উপজেলায় কিছু শিক্ষকরা তাদের ব্যাক্তিগত কোচিং বানিজ্য বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস বিষয় গুলো জানলেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে কোন অনিয়ম করার সুয়োগ নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষকরা কখন, কোথায় থেকে পাঠদান দিবেন তার সিন্ধান্ত কেবল শিক্ষা মন্ত্রানালয় ভাল জানেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অনিয়ম বিষয় ভিত্তিক কোন অভিযোগ তাদের কাছে নেই। এই সংবাদটি প্রকাশের পূর্ব মহুত পর্যন্ত অনিয়ম গুলো বিরাজমান ছিল।

পিবিএ/ওবায়দুল ইসলাম রবি/জেডআই

আরও পড়ুন...