সতর্ক হয়ে চললে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে

সতর্ক হয়ে চললে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে

পিবিএ ডেস্কঃ ডায়াবিটিসের সমস্যা আজ ঘরে ঘরে৷ তার হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি, মেদবাহুল্য, ইসকিমিয়া ইত্যাদিরও রমরমা৷ এক রোগের হাত ধরে শরীরে ঢোকে আর এক রোগ। সামান্য ৪–৫ দিন কি দিন দশেকের বেপরোয়া আচরণে তারা এমন জায়গায় চলে যেতে পারে যে সময় অসুস্থ হতে পারেন আপনি। একটু শুধু চলুন৷ তা হলে আর রোগ বাড়বে না৷

একটু অনিয়মের মধ্যেও নিজেকে নিয়মের বেড়াজালে বাঁধলে অসুখবিসুখকে এড়ানো যায়। কী ভাবে কী করবেন তার খুঁটিনাটি জানিয়েছেন ‘আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর চিকিৎসকেরা৷

কী করবেনঃ ডায়াবিটিস থাকলে দিনভর উপোশ করা চলবে না৷ বড়জোর বাদ দিতে পারেন সকালের চা–বিস্কুট৷ তার পর অঞ্জলি দিয়ে সময় মতো ওষুধ খেয়ে বা ইনসুলিন নিয়ে সকালের খাবার খেয়ে নিন৷

খাওয়াদাওয়া ভুলে আনন্দ করলে নিরানন্দের ঘণ্টা বেজে যেতে পারে যখন–তখন৷ কাজেই ৩ ঘণ্টা পর পর অল্প কিছু খান৷ অর্থাৎ সারা দিনে ৬–৭বার অল্প করে খান এবং চেষ্টা করুন সব ক’টাতেই কার্বোহাইড্রেট কম রাখার৷

খাওয়াদাওয়ায় ডায়েট মানার পাঠ থাকে না খুব একটা। ঘরে-বাইরে ইচ্ছে মতো খাওয়াদাওয়া সারেন অনেকেই। তবে ভূরিভোজের আগের ও পরের খাবার যেন হালকা হয়৷ দিনের মোট ক্যালরি যেন মোটের উপর ঠিক থাকে৷

নরম পানীয় এড়িয়ে চলুনঃ উপোশ এবং বেশি খাওয়া পর পর চললে, সুগারের মাত্রার যে ওঠানামা হয় তাতে যেকোন সময়ের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন৷ দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা তো আছেই৷ এ সব এড়াতে ওষুধে রদবদল আনতে হয়৷ বিশেষ করে যাঁরা ইনসুলিন নেন৷ কাজেই আজই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সাধারণ ইনসুলিনের বদলে ইনসুলিন অ্যানালগ ব্যবহার করুন ক’দিন৷ এই ওষুধ খাওয়ার আগে ও পরেও এটি নেওয়া যায়৷ কাজেই কতটা বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে তা বুঝে ওষুধের মাত্রা ঠিক করা যাবে৷

শত প্রলোভনেও নরম পানীয়, মিষ্টি, পেস্ট্রি, তিলের নাড়ু, নারকোলের তক্তি ইত্যাদি অনেকটা খেয়ে ফেলবেন না। একেবারে না খেলেই ভাল হয়, তবে অতটা এড়াতে না পারলেও কিছুটা নিয়ম মানুন।

মদ্যপানের বিষয়ে সচেতন থাকুন৷ না খেলেই ভাল। এতে কম ক্যালোরি ঢুকবে শরীরে৷ মদ্যপানের আনুষঙ্গীক অসুবিধাও দূরে থাকবে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...