গ্রাহক হয়রানি বন্ধে কাজ করছে আলোর ফেরিওয়ালা

পিবিএ,খুলনা: দালালমুক্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধে কাজ করছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।এতে একদিকে গ্রাহক হয়রানি কমে আসছে, অন্যদিকে প্রত্যেকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এ কার্যক্রমটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইতোমধ্যে খুলনায় শতাধিক গ্রাহক ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ সেবা গ্রহণ করেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় খুলনা জেলার ৮টি উপজেলায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পৌঁছে দিতে পল্লী বিদ্যুতের এ প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে গ্রাহক ও বিদ্যুৎ অফিস আশা প্রকাশ করছে।

খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার শহীদুজ্জামান জানান, আগে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শেষ ছিল না। গ্রাহক হয়রানি দূর করতে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ সহজেই নিশ্চিত করতে পল্লী বিদ্যুৎ ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ প্রকল্পটি চালু করেছে। প্রকল্পটি শুরুর পর থেকেই গ্রাহকদের যথেষ্ট সাড়া মিলেছে। একটি ভ্যানে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের নির্ধারিত টিম প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারাই সংযোগ চাচ্ছে তাদের কাগজপত্র ঠিক করে তাৎক্ষণিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ প্রকল্প চলবে বলেও জানান তিনি।

আলোর ফেরিওয়ালার লাইনম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, ‘মোবাইলে কল দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের কথা বললেই আমরা ভ্যানগাড়িতে করে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের যন্ত্রাংশ নিয়ে ২ জন লাইনম্যান, একজন প্রকৌশলী, একজন এজিএম (অর্থ) ও একজন ওয়্যারিং ইন্সপেক্টর নিয়ে বাড়িতে গিয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আসি। আমরা একটি সংযোগের সার্ভিসের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে জামানতের ৮০০ টাকা, আবেদন ও ভ্যাটের ১১৫ টাকা, সদস্য ফি’র ৫০ টাকা নিচ্ছি।’

উল্লেখ্য, খুলনা জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ৮৬৬টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪১টি গ্রামের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। বাকি গ্রামগুলিতে এ প্রকল্পের আওতায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...