“পাকিস্তান সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ”

পিবিএ ডেস্ক: ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তোপের মুখে পাকিস্তান৷ প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসের দাবি চুক্তি করার জন্য বা সম্পর্ক তৈরির জন্য পাকিস্তান অত্যন্ত বিপজ্জনক দেশ৷ ম্যাটিস সম্প্রতি তাঁর লেখা একটি বই প্রকাশ করেন৷ ‘Call Sign Chaos: Learning to Lead.’ শীর্ষক বইটিতে এমনই মন্তব্য করেছেন ম্যাটিস৷
তাঁর মন্তব্য পাকিস্তান এমন এক মনোভাব নিয়ে চলছে, যেখান থেকে শুধু হিংসা ও প্রতিশোধমূলক স্পৃহা কাজ করছে৷ ভারতের প্রতি তাদের মনোভাব যেরকম, অন্যান্য দেশগুলির প্রতিও তারা সেভাবেই ব্যবহার করে বলে মত ম্যাটিসের৷

৬৮ বছর বয়েসি এই প্রাক্তন সেনা কর্তা ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে কাজ করেছেন৷ এর আগেও ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক জানান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে নিশ্চিতভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ট্রাম্প শান্তি ফেরানোর পদক্ষেপের কথা শুনতে চাইবেন। কাশ্মীরের মানবাধিকার কীভাবে রক্ষা করছেন, তাও জানবেন ট্রাম্প।

শুধুমাত্র ভারত চাইলেই কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করতে পারে বলেও জানান ওই আধিকারিক। যদিও ভারত আগেই জানিয়েছে যে, কাশ্মীর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তৃতীয়পক্ষের দরকার নেই। এছাড়া পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ নিয়েও বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তাতে কোপ বসান৷ জঙ্গি আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে পাকিস্তানকে সাহায্য প্রদান বন্ধ করছেন বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ পরে আবার ইমরান খানের ওয়াশিংটন সফরের তিন সপ্তাহ আগেই আর্থিক অনুদান একধাক্কায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলার কমিয়ে দেয় আমেরিকা৷ পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে ২০১০-এ এই আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল৷

জানানো হয় এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতি বছর পাকিস্তান আর্থিক অনুদান বাবদ পাবে ৪.১ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩১,০০০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে পাকিস্তান এনহ্যান্সড পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা পেপা চুক্তির ভিত্তিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান লাভ করত পাকিস্তান। গত মাসে ইমরান খানের মার্কিন সফরে আসার সপ্তাহ তিনেক আগে পাক প্রধানমন্ত্রীকে এই অনুদান কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদ রুখতে পাকিস্তানের তরফে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মার্কিন প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...