পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীতে গ্যাং বলে কোনো শব্দ থাকবে না বলেই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে ঢাকায় কিশোর গ্যাংসহ অন্য সব গ্যাং নিশ্চিহ্ন করে দেব। কোনো কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব থাকতে দেব না।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর লালবাগে হোসেনি দালানের ইমামবাড়ায় বিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কিশোর গ্যাং বলি আর বড় গ্যাং বলি ঢাকায় গ্যাং বলে কোনো শব্দ থাকবে না। সবাইকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে ডিএমপি শূন্য সহিষ্ণু নীতি অবলম্বন করেছে। ঢাকায় কোনো গ্যাং থাকবে না।
শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল ঘিরে যেন কোনো সহিংসতা না হয় তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, মিছিল ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। এ ছাড়া তাজিয়া মিছিলের সব স্থানগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আশুরা উপলক্ষে রক্তাক্ত তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা (শিয়া সম্প্রদায়) যখন মিছিল করবে, সেই মিছিলে কোনো ধাতব বস্তু, ছোড়া, তরবারি, বর্শা বা আগুনের কোনো ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মিছিলে কোনো ধরনের লোহা বা ধারালো অস্ত্র বহন করা যাবে না। এ ছাড়া আঁতশবাজি ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।
১০ সেপ্টেম্বর আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিল বের হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১২ ফুটের বেশি বড় নিশান মিছিলে ব্যবহার করা যাবে না। ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জা মেলানো, শক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উচ্চ স্বরে গান বাজানো বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে হোসনি দালানে জেএমবির সদস্যরা বোমা হামলা চালায়। এতে এক কিশোরসহ দুজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এ মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। আদালত যখন বলবেন, তখন মামলার আসামিদের হাজির করা হবে।
পিবিএ/বাখ