পিবিএ ডেস্ক: গত ০২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে ভারতের টেলিভিশন দূরদর্শনের ডিটিএইচ প্ল্যাটফর্ম-ডিডির মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভির অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালু হয়েছে।
ভারতের ডিশ ফ্রি আর্ট টেলিভিশন দূরদর্শনের ডিটিএইচ প্ল্যাটফর্ম-ডিডির মাধ্যমে বিটিভির অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালু হয়। এরপর বিটিভির অনুষ্ঠান দেখে একজন ভারতীয় দর্শক তার ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ।
গত তিন চারদিন ধরে বিটিভির অনুষ্ঠান দেখছি। চ্যানেলটার নাম বিটিভি ওয়ার্ল্ড। বাংলাদেশ টেলিভিশন নয়। মনে হয় এটা বিদেশের দর্শকদের জন্যই খোলা হয়েছে। প্রথম দিন বেশ ভালই লাগল। নতুন জিনিস ভালমন্দ যাই হোক, দেখেছি সারাদিন। কিন্তু পরদিন থেকে একই অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি। যখনই বিটিভি খুলছি তখনই অবাক হয়ে ভাবছি আরে এটা তো আগেই দেখেছি। রোজই এক অনুষ্ঠান, একই প্রচার একই গান। অন্তত আমার চোখে পড়ে নি নতুন কিছু।
মুজিবের “যাদুঘরে” তাঁর স্মৃতি বিজড়িত নানা জিনিসপত্র দেখানো হয়েছে। রোজই দেখানো হয়। র*ক্তমা*খা জা*মাকাপড়, গু*লিবি*দ্ধ বই, আরো নানা জিনিসপত্র, ফটো ইত্যাদি শোভা পাচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসা হয় দেখানোর জন্য।
প্রশ্ন হল, অত সব জিনিসপত্র কাদের দ্বারা সংরক্ষিত হয়েছিল? যেখানে মুজিবের মৃ*ত্যুর পর তাঁর হ*ত্যাকা*রীরা*ই ক্ষ*মতা দ*খল করেছিল? এবং মুজিবরের কন্যা শেখ হাসিনা তখন বিদেশে ছিলেন ও ছ বছর পর দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর পক্ষেও সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। হ*ত্যাকা*রীরা নিশ্চয় য*ত্ন করে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করে নি।
সব চেয়ে আশ্চর্য, ১৯৭৫ এর ১৪ আগস্ট মুজিবের ১০ বছরের পুত্র রাসেল নাকি কোক খেতে চেয়েছিল। তার জন্য দুটি কোকের বোতল আনা হয়েছিল। তার একটি হ*ত্যাকা*রীরা গু*লি ক*রে ভে*ঙে দিয়েছিল, অন্যটি অক্ষত ছিল। সেটিও স্মারক হিসেবে দেখানো হয়। এইভাবে কোকাকোলার প্রচার করছে স্বয়ং বাংলাদেশ সরকার। যেখানে ভারতে কোক পেপসির বিরুদ্ধে অ্যা*কশন নেওয়া হয়েছিল, পানীয়তে পেস্টিসাইড মেশানোর জন্য তাদের ব্যা*ন করা হয়েছিল। পরে তারা বন্ড দিয়ে অনেক কষ্টে ব্যান তুলিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু আজকাল কোক পেপসি জাতীয় ড্রিং*ক্স কেউ খায় না বললেই চলে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা এসেছে।
প্রশ্ন হল রাসেল যে কোকের বোতল আনতে বলেছে তার সাক্ষ্য কে দিয়েছে? ওই বাড়ির বাসিন্দারা তো সবাই নি*হত হয়েছিল। এই গল্পটা হাসিনা সরকারেরই বানানো বলে মনে হচ্ছে। নিজের পরিজনের মৃ*ত্যু নিয়ে ব্য*বসা করতে ল*জ্জা করে না?
পিবিএ/ইকে