যে বয়সে মেয়েরা বিয়ে করার জন্য উত্তেজিত হয়ে ওঠে

মুল বিষয়ে যাবার আগে চলুন কিছু জেনে নিই। কোথায় যেন একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, মানুষ জীবনে তার লক্ষ্য কিংবা কতটুকু সফল হতে পারবে, সেটা ৩৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই বুঝতে পারে। ব্যাপারটা এমনই, আপনি এই বয়সে এসে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে হালকা পাতলা চিন্তা করতে পারবেন,জীবনের শেষ গন্তব্যে কি করবেন, সেটা চিন্তা করতে পারবেন। ফ্ল্যাট বাড়ীর জন্য কিস্তি জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন। গাড়ি কিনার চেষ্টা করতে পারেন, নেহায়েৎ ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও।

একটু গোড়া থেকে শুরু করি,

১৮ বছর বয়স শেষে একজন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তার ২২-২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। গড়ে বাংলাদেশী ছেলেদের চাকুরী পেতে পেতে ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় পছন্দমতো চাকুরী পায় না, এই অফিস, ঐ অফিস ঘুরা ঘুরি করে। ধরলাম আলটিমেট চাকুরীটা পেতে তার ২৭ -২৮ বছর হয়ে গেল।

তারপর বলে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরেই বছর ২-১ পরে বিয়ে করবো। গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখা গেল, সংসার চালানো অনেক কঠিন। তখন বলে একটা প্রমোশন পেলেই বিয়ে করবো। প্রমোশন পেতে পেতে ৩২ বছর হয়ে যায় অনেকের। তারপর ভদ্রলোক এইবার বিয়ের ঘোষণা দেন।

মিয়া এখন বিয়াতে রাজী, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে ঝাপিয়ে পড়ে বিবি খুঁজতে। এই মেয়ে দেখে, ঐ মেয়ে দেখে, পছন্দসই মেয়ে খুঁজে পেতে ৩৩ পার হয়ে যায়। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসেন মিয়া ভাই।আমি এমনও দেখেছি, ৩৫-৩৮ বছর পরেও অনেক পুরুষ নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন না। তারা মনে করেন, আর একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিই আগে, তাহলে বিয়ের বাজারে নিজের দামটা আরো একটু বাড়বে, আরো একটু সুন্দরী, গুনবতী, কচি মেয়ে পাবো।

একটা চরম সত্য কথা বলি, অনেক পুরুষ মানুষ আমার উপর ক্ষেপেও যেতে পারেন। সত্যটা হলো, যাদের বয়স ৩৫-৩৮ এর কোটায়, তারা বউ হিসেবে ২১ -২৪ (সর্বোচ্চ) বছরের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে। মানে অনার্স পাশ করা মেয়ে, মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে অনেকের পছন্দ নয়। অনেকে আবার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে পছন্দই করেন না, তাদের পছন্দ ঐ ১২ ক্লাশ পাস, মানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।কারণ ঐ ১৮ বছরের মেয়েদের ইচ্ছে মতন শেইফ দেওয়া যায়। যেমনি বলবেন, তেমনি চলবে।

স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। দুই জনের মানসিক চাহিদাটা মিল না হলেই এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে যায়। নিজের থেকে ১২ বছরের কারো সাথে এডজাস্ট করাটা অনেক সময় সত্যিই কষ্টকর।

আবার ৩৫+ বয়সে অনেকের ভীমরতিও হয়। আমি একজনকে চিনি, যিনি বউকে সান গ্লাস কিনে দিয়েছেন, বউ বায়না করে নাই। কোথাও বাইরে গেলে সান গ্লাসটা আবার চোখে পড়া যাবে না। কপালের উপরে মাথায় রাখতে হবে (যেমনটা বাংলা সিনেমাতে দেখা যায়)। স্বামীর নির্দেশ। স্ত্রীর মানতে কষ্ট হলেও উপায় নেই। মুরুব্বী বলে কথা।এই ধরণের জুটিকে রাস্তাঘাটে দেখলে মানুষজন অনেক সময় কনফিউজড হয়ে যায়। বুঝতে পারে না, মেয়েটা কার সাথে বের হয়েছে? বাবার সাথে? নাকি জামাই এর সাথে?

আমার মতে ২৫ পেরুলেই ছেলেদের বিয়ে করে ফেলা উচিত। প্রতিষ্ঠা পেতে পেতে আরো ৫-৮ বছর নষ্ট না করে যৌবনটাকে উপভোগ করুন। সময় চলে গেলে তা আর পাওয়া যাবে না। আর স্ত্রীর সাথে বয়সের গ্যাপ যতই কম হয়, তত ভালো, তত বেশী বুঝাপড়া হবে আপনাদের। ভালোভাবে সংসার করার জন্য মেন্টাল বয়সটা সমবয়সী হওয়া অনেক জরুরী।
এবারে আসা যাক মুল আলোচনায়,প্রশ্ন ছিলো কত বছর বয়স হলে মেয়েরা বিয়ে করাই জন্য পাগল হয়ে ওঠে ।

এই বিষয়টি মুলতঃ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে,মেয়েদের দৈহিক গঠন ও পারিপার্শ্বিকতার উপর বিচার করে মেয়েরা নিজেই বুঝতে পারে কখন সে বিয়ের উপযুক্ত ।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরা সাধারণত 15 থেকে 21 বছরে বয়সের মধ্য এই কাজটি সেরে ফেলতে চাই ।

যৌন সম্পর্ক বা মিলন মানুষের জৈবিক প্রক্রিয়া। যৌন সম্পর্কে ধারনাটা মোটামুটি সবাইরে জানা। তবে প্রকাশ না করলেও যৌন উত্তেজনাটা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অনেক বেশি। কাজেই জেনে নেওয়া যাক, বয়সের উপর ভিক্তি করে কখন মেয়েরা যৌন উত্তেজনায় পাগল হয়ে ওঠে?

১. মেয়েদের যৌন চাহিদা ছেলেদের ৪ ভাগের এক ভাগ। কিশোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌন ইচ্ছা সবচেয়ে বেশি। ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে, ৩০ এর পরে ভালই কমে যায়।

২. ২৫ এর উর্দ্ধ মেয়েরা স্বামীর প্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া।

৩. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্ম চেয়ে অনেক বেশি পছন্দ করে। বেশিরভাগ মেয়ে গল্পগুজব হৈ-হুল্লোর করে যৌনকর্মর চেয়ে বেশি মজা পায়.

এখন নিচে একটি পরিসংখ্যান দেখুন বিভিন্ন দেশে ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স আইন অনুযায়ী

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...