পিবিএ ডেস্কঃ আবহাওয়া বদলের সময় যেমন সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে, তেমনই সারা বছরই এসি-তে অফিসকাছারির কাজ সারার কারণেও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে যায় অনেকেরই। তা ছাড়া গরমে বার বার গোসল করা বা বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া মিলিয়ে প্রায় সারা বছরই অনেকের মধ্যেই ঠান্ডার ধাত রয়ে যায়।
সারা রাত শুকনো কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া বা ঘুমনোর সময় নাক বন্ধ হয়ে গিয়ে শ্বাসের সমস্যা এগুলো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সাধারণত, শরীরে যখন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মিউকাস তৈরি হয়, তখনই বাড়তি মিউকাস নাক পানির আকারে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া যাঁরা সাইনাস ও মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা থেকে নানা ধরনের সংক্রমণ শুরু হয়।
নাকের হাড় যাঁদের একটু বাঁকা, সামান্য ঠান্ডা লাগলেই ঘুমনোর সময় প্রায়ই তাদের নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। সাধারণত বাজারচলতি নানা রকমের নাকের ড্রপ দিয়েই এই সমস্যার সহজ সমাধান মেলে। কিন্তু মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মতে, ‘‘এমন নাকের ড্রপ একটানা রোজ নিয়ে গেলে এক সময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে ও এই ড্রপ ছাড়া কিছুতেই ঘুম আসবে না। তাই এই সব ড্রপ খুব অসুবিধা হলে তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিন, নয়তো রোজই এ সব নিতে নিতে এক সময় ঘুমের ওষুধের মতো বদভ্যাসে পরিণত হবে।’’ বরং কিছু ঘরোয়া উপায়ে নাক বন্ধের এই সমস্যা মেটাতে পারেন সহজেই।
কী কী উপায়ে তা মেটাবেন?
ঠান্ডার ধাত থাকলে প্রায়ই ভেপার নিন। দিনে বার দুই ভেপার ও সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টি অ্যালার্জির কিছু ওষুধ খেলেই এই সমস্যা অনেকটা কমবে।
একান্তই নাক বন্ধের সমস্যা না মিটলে রাতে শোওয়ার আগে নুন-পানি টানুন নাকে। কয়েক চামচ পানিতে সামান্য নুন যোগ করে ড্রপারে করে সেই পানি নাকে টানুন।
গলার খুশখুশ সরাতে ও নাক থেকে পানি পড়া রুখতে উষ্ণ পানিতে আপেল সাইডার ভিনিগার ও মধু মিশিয়ে খান নিয়মিত।
নাক বন্ধের সমস্যা মেটাতে চাইলে কাঁচা হলুদ ও দুধ মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করুন। এক কাপ দুধে একটুখানি কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে প্রতি দিন রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে পান করুন।
পিবিএ/এমআর