জেনে নিন কোন ধরনের কাপড় কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হয়

পিবিএ ডেস্ক: জামাকাপড় ইস্ত্রি না করে কি পরা যায়! ইস্ত্রি না করলে জামাকাপড়ের সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে কি সব সময় জামাকাপড় ইস্ত্রি করানোর জন্য দোকানে বা লন্ড্রিতে পাঠাবেন?

বাড়িতে ইস্ত্রি করতে অবশ্য অনেকেই ভয় পান। পাছে জামাকাপড় পুড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়- সেই কারণে।

জেনে নিন কোন ধরনের কাপড় কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হয়:

১) সুতির কাপড়: ইস্ত্রি না করলে সুতির জামাকাপড় পরাই যায় না। সুন্দরভাবে ইস্ত্রি করতে চাইলে তাপমাত্রা রাখুন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তারপর সমান ভাবে ইস্ত্রি করে নিন।

২) পলিয়েস্টার কাপড়: ইস্ত্রির তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক। তাই খেয়াল রাখুন।

৩) সিল্ক: সিল্কের জামাকাপড় মানেই সেটি খুব হালকা, সূক্ষ এবং কোমল। তাই ইস্ত্রিও করতে হবে খুব যত্নে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন, সিল্কের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় তাপমাত্রা যেন কোনো ভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৪) লিনেনের কাপড়: এই ধরনের ফেব্রিক সবচেয়ে বেশি কুঁচকে যায়। তাই ৪৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হবে লিনেনের জামাকাপড়।

৫) সিফন জর্জেট: এই ফেব্রিক খুবই মিহি হয়। ইস্ত্রি না করলেও চলে। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৬) লাইক্রা: এই ধরনের ফেব্রিক ইস্ত্রি না করাই ভাল। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন কোনো ভাবেই ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...