মাস দুয়েক হলো ঘটা করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল দুটি ব্যাঙের। উদ্দেশ্য যাতে বৃষ্টি হয়। হয়েছেও বৃষ্টি। তবে এ বৃষ্টির যেন আর শেষ নেই। রীতিমতো বন্যা হওয়ার উপক্রম। তাই বৃষ্টি থামাতে ব্যাঙের দুই মাসের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটানো হলো! ব্যাঙের বিয়ে দিলে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে বিচ্ছেদ করালে নিশ্চয় বৃষ্টি বন্ধ হবে! এমন অদ্ভূত চিন্তা থেকেই ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালবাসী ব্যাঙ দুটির বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। তাদের এ বুদ্ধি দিয়েছেন সেখানকার ধর্মগুরুরা।
বৃষ্টি না হলে ব্যাঙের বিয়ে দেয়াটা পুরনো রীতি। ভারতীয় হিন্দুদের একাংশ বিশ্বাস করেন, যে ব্যাঙের বিয়ে হলে বৃষ্টির দেবতা দেবরাজ ইন্দ্র তুষ্ঠ হন। বৃষ্টি না হলে, তাই ব্যাঙের বিয়ে দেয়াটা রীতি। এমনটাই করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশে। মাস দুয়েক আগে যখন ভোপালে বৃষ্টির অভাবে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন রীতিমতো সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে দেয়া হয় দুটি ব্যাঙের। দিনটা ছিল ১৯ জুলাই। মন্দিরে নিয়ে গিয়ে লোক খাইয়ে ঘটা করে বিয়ে দেয়া হয়।
এর ফলও পাওয়া যায় তাৎক্ষণিক। ব্যাঙের বিবাহের পর গত কয়েকদিনে মধ্যপ্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ভোপালের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে চলতি বছরের বৃষ্টি। বুধবার ভারী বর্ষণের পর ভোপালের নিচু এলাকাগুলো ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এই অতিবর্ষণের জেরে রীতিমতো বিপাকে ভোপালবাসী। বাসিন্দাদের ধারণা, ব্যাঙের বিয়ে দেয়ার জেরেই এই অতিবৃষ্টি সৃষ্টি হয়েছে। তাই ১৯ জুলাই যে দুটি ব্যাঙের বিয়ে দেয়া হয়েছিল, তাদের বিচ্ছেদ করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক, বুধবার আবার মন্দিরে এনে রীতিমতো মন্ত্রপাঠ করে দুটি ব্যাঙের বিচ্ছেদ করানো হয়েছে। ধর্মগুরুদের দাবি, এই বিচ্ছেদের ফলে অতিবৃষ্টির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবেন ভোপালবাসী।
পিবিএ/বিএইচ