পিবিএ ডেস্ক: মাথা ঢাকা হয়নি সৌদি আবায়াতেও। চোখে সানগ্লাস, খোলা চুলে উজ্জ্বল লাল পোশাকের তরুণী হেঁটে চলেছেন নির্দ্বিধায়। এমনই দৃশ্য দেখা গেল খোদ সৌদি আরবের রিয়াদের একটি শপিং মলে। হাই হিলে শরীরি ভঙ্গিমায় ঐ তরুণীর চালচলনে কোনও সঙ্কোচ নেই। ধর্মের ‘পর্দা’ সরিয়ে সৌদি আরবের মতো মুসলিম রক্ষণশীল দেশে তরুণীর এমন ভাবমূর্তি ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। যে ঘটনায় তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও। খবর ডেইলি মেইলের।
সৌদি আরবের নানা ওয়েবসাইটে ঐ নারীর ছবি ভাইরাল হলেও, তার নাম বা পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। সৌদি সমাজের নিয়ম অনুযায়ী, মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরকা না পরে প্রকাশ্যে বেরতে পারেন না কোনও নারী, যদি সে ভিন্ন ধর্মেরও হয়। সেখানেই এই তরুণী যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর তরুণীর এই আচরণ দু’ভাবে দেখছেন নেটিজেনরা। তবে তাদের বেশির ভাগেই এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করছেন, যদিও কেউ কেউ ঐ নারীর আচরণকে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।
সৌদি নারীদের এই ধরনের পোশাকে চলাফেরা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও পাশ্চাত্য পোশাকে ক্য়াফেটেরিয়ার সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুলে টুইটারে পোস্ট করে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক তরুণী। সেটা অবশ্য ২০১৬ সালে। পুলিশের দাবি ছিল, ‘নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন’ করার জন্যই গ্রেফতার করে সেই তরুণীকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। গত বছর, সৌদির রাজকুমার মুহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেছিলেন ভিশন ২০৩০। সেই ঘোষণাই ছিল কার্যত যুগান্তকারী।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগের উপর শতাব্দী প্রাচীন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন যুবরাজ। এই ঘোষণার পরেই বোরকার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করছে নারীরা। নারীদের গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বেসরকারি শিল্পক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগ শুরু হয়। সরকারি টিভি চ্যানেল সৌদি টিভি ওয়ান-এ বোরকা ছাড়াই নিজের মুখ দেখান পেশাদার নিউজ অ্যাঙ্কর উইম আল দাখিল।
পিবিএ/বিএইচ