পিবিএ,দিনাজপুর: আজ ১৩ জানুয়ারি হিলি ট্রেন দুর্ঘটনা দিবস। দিনাজপুরের ইতিহাসে এক শোকার্ত দিন। ১৯৯৫ সালের এই দিনে হিলি রেল স্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান ২৭ জন। তবে আজও আহত ও নিহতের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি। এমনকি আজও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।বাংলাহিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও হিলি স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সোয়া ৯টায় রেল ক্রসিংয়ের উদ্দেশে স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেন। তবে সে সময়ের দায়িত্বরত স্টেশন মাষ্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন।
দুর্ঘটনার পরদিন ১৪ জানুয়ারি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সে সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গঠন করা হবে তদন্ত কমিটি। কিন্তু দুর্ঘটনার ২৪ বছরেও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। সেইসঙ্গে আজও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি।
পিবিএ এমএ ইএইচকে