পিবিএ ডেস্ক: ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার পর সৌদি আরব তাদের তেল উৎপাদনকারী কারখানার সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তারা জানায়, এতে করে প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশ।
শনিবার সকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর মালিকানাধীন বড় দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র আবকাইক-এ ড্রোন হামলার পর আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট। ওই লড়াই শুরুর পর থেকে সৌদি আরবে বেশ কয়েক বার হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে হুথি বিদ্রোহীরা।
সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর চারটায় আবকাইক ও খুরাইসে তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার কারণে সৃষ্ট আগুন মোকাবিলা শুরু করে আরামকোর শিল্প নিরাপত্তা দল। দুই জায়গার আগুনই এখন নিয়ন্ত্রণে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, সৌদি কর্মকর্তারা এখন মজুদ করে রাখা তেল থেকে ক্রেতাদের তেল রফতানি করছে যেন তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকে। প্রতিবেদনটির ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি আরামকো কর্তৃপক্ষ।
লিপো অয়েল অ্যাসোসিয়েটস এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রে লিপো বলেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। হতে পারে রোববার সন্ধ্যা থেকে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ থেকে ১০ ডলার বেড়ে যাবে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা জানায়, তারা ড্রোন হামলার পরিবর্তী পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
পিবিএ/বাখ