পিবিএ ডেস্ক : জেলায় সরিষা ফুলের মধু আহরণে মৌয়ালরা বেশ তৎপর রয়েছেন। চলতি অর্থ বছরে সাতক্ষীরায় ১০ কোটি টাকার মধু আহরণ হতে পারে। উৎপাদিত মধু জাপান, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ৯ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। জেলার মাটি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের উপযোগী। তাই এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এসব সরিষা ক্ষেতের পাশে বাউ পদ্ধতিতে সরিষা ফুলের মধু আহরণ হয়ে উঠেছে বেশ জনপ্রিয়।
মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে যখন মধু আহরণ করে তখন সৃষ্টি হয় পরাগায়ণের। যার দরুন সরিষার ফলন বাড়ে শতকরা ২৫-৩০ ভাগ। চলতি অর্থবছর সরিষার ফুল থেকে ৫০০ মেট্রিকটন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বিক্রি করে আয় হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। আর উৎপাদিত এসব মধু জাপান, মালয়েশিয়া ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়ে থাকে এবং এবারও তা অব্যাহত থাকবে। জেলার শতাধিক মধু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সাতক্ষীরার মধু খামার মালিক মোশাররফ হোসেন জানান, প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সরিষা ফুলের মধু আহরণ করা হয়। এরপর শুরু হয় জিরা ও ধনিয়া ফুল থেকে দুই মাস ধরে আহরণের মৌসুম। ১ এপ্রিল থেকে চলে সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম। সুন্দরবনের মধুরও সারাদেশে বেশ চাহিদা রয়েছে।
পিবিএ/জিজি