নাটোরে ড্রাগন ফল চাষের সফলতা

পিবিএ,নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে শখের বসে পেয়ারা চাষ ও ড্রাগন ফল চাষ করেন প্রভাষক
মো.জাহাঙ্গীর আলম। উপজেলার দক্ষিন নাড়িবাড়ী এলকায় নিজের দেড় বিঘা জমিতে
পেয়ারা ও দশ শতক জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে শুরুতেই সফলতার মুখ দেখেছেন
তিনি।

প্রথমেই সফলতার মুখ দেখায় নতুন করে পরিকল্পনা করেছেন তিনি। ঢাকা,রাজশাহী,সিরাজঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বাগানে এসে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে তিনি ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেন ।

ঢাকা এআইউবি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পড়াশোনা শেষে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সময় বাবা আমাকে বাড়িতে এসে চাষাবাদ করতে বলে। নাটোরের বিভিন্ন জায়গায় পেয়ারা ও ড্রাগন ফলের বাগান দেখে নিজের জমিতে ড্রাগন বাগান শুরু করি। প্রথমত অনেকেই ভয় দেখাতো যে লাভ হবে না। তারপরও ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেড় বিঘা জমির ওপর ১৬৫ টি থাই পেয়ারার গাছ রোপন করি। শ্রমিক দিয়ে এবং নিজে
বাগানে সময় দেই। চারা রোপনের ৬ মাস পর থেকেই পেয়ারা বিক্রি শুরু করি। পেয়ারা বাগানে আমার ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ৩ লক্ষ টাকা বিক্রয় করেছি।

তিনি জানান, দশ কাটা জমির ওপর ১০০ টি গাছ দিয়ে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা, বিক্রি করেছি ৭ হাজার আরো ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি করবো। আরো ৪ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করবো। গুরুদাসপুরে ড্রাগন ফল আমি চাষ শুরু করেছি ।

এমনকি গুরুদাসপুর কৃষি অধিদপ্তর অফিস থেকে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এবং বিভিন্ন কম্পানির রিপরেজেন্টিভদের কাছ থেকেও আমি অনেক সাহায্য পেয়েছি। গুরুদাসপুর কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো.আব্দুল করিম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সকল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। ড্রাগন ফল চাষীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...