পিবিএ,ঢাকা: গত রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মুগকান্দি এলাকায় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আশরাফুল ইসলাম (২৪) নামে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। কাগজে-কলমে এই পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর ঘটনা দূর্ঘটনা হলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যর জন্ম দিয়েছে। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে নিহত কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের রেঞ্জ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুক্ল দাসের অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ফুটেজের চিত্র উঠে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১২ জুন রাতে একটি রুমে পুলিশের রেঞ্জ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুক্ল দাসকে বেধে রেখেছেন সিলেট মহানগরের প্রয়াত কনস্টেবল আশরাফুল। এসময় আশরাফুলের পা ধরে বার বার ক্ষমা চাইছেন ওসি গোবিন্দ শুক্ল দাস। এ ঘটনার মাস দুয়েক পর ১০ দিনের ছুটিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও যান আশরাফুল। ছুটি শেষে সিলেটে ফেরার পথে মৃত্যু হয় তার।
তার এই মৃত্যুর কারণ দূর্ঘটনা বলা হলেও এখন বিশ্বাস করছে না আশরাফুলের পরিবার। কারণ মৃত্যুর পর এই কনস্টেবলের মোবাইলে একাধিক আপত্তিকর ভিডিও পেয়েছে তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফুলের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, যখন আমরা লাশ গ্রহন করি তখনই এসএমপি কমিশনারকে বলেছি, যে আমাদের কাছে এই মৃত্যু নিয়ে একটা সন্দেহ আছে। পোস্টমর্টেমে আমি লাশ দেখেছি, কোনো দাগ নাই। তদন্ত করে এর সত্য উদঘাটন করা হোক।
আশরাফুলের মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কোনো কিছু রেকর্ড করতে ঘরের গোপন এক স্থানে ক্যামেরা বসাচ্ছেন আশরাফুল। এরপর সেই গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে কনেস্টবলের স্ত্রী উর্মির সঙ্গে ওসি গোবিন্দ শুক্ল দাসের অনৈতিক সম্পর্ক। ভিডিও ধারণের পরই গোবিন্দকে আটক করেন আশরাফুল।
আশরাফুলের মৃত্যুর পর তার মোবাইলে এ সকল ভিডিও দেখে স্বজনদের দাবি, আশরাফুলকে হত্যা করা হয়েছে। আশরাফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে এ অভিযোগ জানানো হলে তিনি সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে আশরাফুলের ভাই জানান, আশরাফুলের মোবাইলে ভিডিওটা পাওয়ার পর আমরা সেই ভিডিওটা কমিশনার সাহেবকে দেই। ওনাকে জানাই, আমরা আশরাফুলের মোবাইলে এই ভিডিওটা পেয়েছি। কমিশনার সাহেব অতিরিক্ত কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিষয়টা খতিয়ে দেখতে।