গৃহবধু ধর্ষণের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই

পিবিএ,ঢাকা: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক থাকার প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে কমিশনের তথ্যানুসন্ধান কমিটি ঘটনা সম্পর্কে এমন মূল্যায়ন করেছে। তবে ধর্ষণের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে ভিকটিমের মারপিট ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার কোনো সম্পর্ক তদন্তকালে তদন্ত কমিটির সামনে উন্মোচিত হয়নি। বরং, ভিকটিমের স্বামীর দায়েরকৃত এজাহারের ভাষ্যমতে এটি আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারের পূর্বশত্রুতার জের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভিকটিম তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি যে তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন বা তিনি ধানের শীষ প্রতীকের নেতা, কর্মী, সমর্থক বা আসামিরা ধানের শীষের বিপরীত দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক বা পোলিং এজেন্ট।

প্রতিবেদনের আরেক জায়গায় ভিকটিমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বলা হয়, তিনি ১৪ নম্বর ভোট কেন্দ্র যান, তাকে নৌকায় ভোট দিতে বলে, তিনি বলেন তার ভোট তিনি দিবেন, তখন বলে যে যান বিকাল বেলা খবর আছে। সোহেল বলে রাইতে দেখা করবে, সন্ধ্যার পর তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত সাড়ে ১২টার পর মারপিট ও ধর্ষণের ঘটনা ওই নারীর জবানিতে তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

এজাহার ও ভিকটিমের জবানবন্দির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোট দেওয়ার কারণে তার ধর্ষণ ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া বা আসামিদের আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া বা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী দ্বারা তার মারপিট ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় না।

কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিকটিম ও তার স্বামীর জবানবন্দি, এজাহারের ভাষ্য এবং ইনজুরি সার্টিফিকেট ও প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট একত্রে বিশ্লেষণ করে এবং গাইনি ডাক্তারের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

তবে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুহুলকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...

preload imagepreload image