পিবিএ,ডেস্ক: ’নবী’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো সংবাদদাতা। নবী শব্দটি এসেছে’নাবা’ থেকে। ‘নাবা’ শব্দের অর্থ সংবাদ, খবর, বার্তা; উচ্চ মর্যাদসম্পন্ন ও উন্নত মর্যাদাবান ইত্যাদি। নবী শব্দের বহুবচন হলো ‘নাবিয়্যূনা, নাবিয়্যীনা’ ও ‘আম্বিয়া’; অর্থ- নবীগণ।নবূওয়াত’ শব্দের অর্থ- গোপন সংবাদ বা বার্তা বহন করা।
আল্লাহ তাআলার নিআমতপ্রাপ্ত বান্দাদের চার শ্রেণি (নাবিয়্যীন, সিদ্দীকীন, শুহাদা, সলিহীন) এর প্রথম প্রকার হলেন ‘নাবিয়্যীন’ বা নবীগণ। কোরআন মাজীদে এসেছে : “আর যারা আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর আনুগত্য করবে, তারা নবিয়্যীন, সিদ্দীকীন, শুহাদা ও সলিহীনগণের সঙ্গে যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন তাদের সঙ্গী হবে এবং তারা কতইনা উত্তম সঙ্গী হিসেবে!” (সূরা নিসা : ৬৯)।
নবীগণের তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য : (এক) মাছূম বা নিষ্পাপ, অর্থাৎ তারা জীবনে নবুওয়াত প্রকাশের আগে বা পরে সবসময় সব ধরনের কবীরা বা ছগীরা গোনাহ থেকে মুক্ত ও পবিত্র। (দুই) মুন্তাখাব মিনাল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত। (তিন) ছাহিবুশ শারীআ অর্থাৎ শরীআতের বিধান দাতা।
পরিভাষায় নবী হলেন ‘আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান সৃষ্টির নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ও প্রেরিত ব্যক্তি।’ পবিত্র কোরআনে নবী শব্দ একবচনে ৫৪ বার এবং বহুবচনে ২১ বার এসেছে। নবী ও রাসূল উভয় শব্দ পবিত্র কোরআনে প্রায় অভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে; তবে উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। নবী-রাসূলের পার্থক্য মূলত দাওয়াতের ক্ষেত্রে, নবীগণের দাওয়াত ছিল সীমিত পরিসরে আর রাসূলগণের দাওয়াত ছিল সর্বজনীন। নবী একজন মানুষ, আল্লাহ তার প্রতি ওয়াহী নাযিল করেছেন; আর রাসূলও একজন মানুষ আল্লাহ তার নিকট শরীআতের বিধান নাযিল করার পাশাপাশি তা প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করার দায়িত্বও তার ওপর অর্পণ করেছেন। সব রাসূলই নবী, সব নবী রাসূল নন। (মাআরিবুত তলাবা, আল ইতকান)।
পিবিএ/এফএস