পিবিএ,জাককানইবি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর কর্মরত সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ ও হয়রানির ঘটনায় প্রশাসনকে নিঃশর্ত ক্ষমা, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি শামস জেবিনসহ অন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির বিচার চেয়ে “দড়ি ধরে দাও টান, খন্দকার নাসির উদ্দীন হবে খান খান” এই প্রতিপাদ্য স্লোগানকে সামনে রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচির সম্পন্ন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) প্রেসক্লাব।
সারা দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত দাবিতে ‘বাংলাদেশ ক্যাম্পাস জার্নালিস্ট ফেডারেশন’ এর ডাকে আজ সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) প্রেসক্লাব।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয়বাংলা’ ভাস্কর্যের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় খন্দকার নাসির উদ্দীনকে তার পদ থেকে হটানোর দৃশ্য হিসেবে তার প্রতিকী কুশপুত্তোলিকা বানিয়ে গলায় দড়ি টেনে প্রদর্শন করে এই সাংবাদিক সংগঠনটি। একই সাথে “দড়ি ধরে দাও টান, খন্দকার নাসির উদ্দীন হবে খান খান” স্লোগানে বিক্ষোভ করে সাংবাদিক সংগঠনসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময়ে বক্তব্য রাখেন জাককানইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সরকার আবদুল্লাহ তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক নিহার সরকার অঙ্কুর এবং উইম্যান পিস ক্যাফে, জাককানইবি এর সহ-সভাপতি ফাইজা উমর তূর্ণা। তারা তাদের বক্তব্যে “অতিসত্তর বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ এবং ফাতেমা তুজ জিনিয়া কে নির্দোষ ঘোষণাসহ ক্যাম্পাসগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য বশেমুরবিপ্রবি’র আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জিনিয়া ইংরেজি সংবাদপত্র ‘ডেইলি সান’-এর প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছিলেন। ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী হওয়া উচিত’ এমন একটি স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং ইতিপূর্বে আরো পাঁচজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
পিবিএ /আশিক আরেফীন/জেডআই