পিবিএ ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলবে না ভারত। বরং বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় নিজেদের অবদানের কথা তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘ অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার জোর দাবি জানিয়ে আসছে পাকিস্তান।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বের) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেন, পাকিস্তান কী বলবে তা নিয়ে মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। তারা যদি ইস্যুটি তুলতে চায়, তবে স্বাগতম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের মূল বিষয়েই গুরুত্ব দেবেন। জাতিসংঘের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শান্তির জন্য আমরা কী করছি এবং আমাদের প্রত্যাশাসহ অন্য দেশগুলোর আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আলোচনার জন্য আমাদের অনেকগুলো বহুপাক্ষিক বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সন্ত্রাস, যদিও এটি মূল আলোচনায় আসবে না।
গত ৫ আগস্ট ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে মোদী সরকার। এরপর থেকেই উপত্যকা এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়, বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় টেলিফোন, ইন্টারনেটসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, আটক করা হয় শীর্ষ নেতাদের। এক মাসেরও বেশি সময় পর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হলেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
এ ইস্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ, কূটনীতি, বাণিজ্য। কাশ্মীরে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন হচ্ছে দাবি করে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ চায় পাকিস্তান। তবে, বরাবরই এসব অভ্যন্তরীণ বিষয় দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।
পিবিএ/এমএসএম