পিবিএ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি আরব যদি কোনো সামরিক হামলা চালায় তাহলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি জানান তিনি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিকল্প রাস্তা খোলা আছে।
গতকাল ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি গুরুতর কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা সামরিক মোকাবিলায় জড়িত হতে চাই না। কিন্তু নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র হেলাফেলা করব না।
গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ঐ হামলার পর সৌদি আরবের তেল উত্পাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে ওয়াশিংটন।
হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে গতকাল লস অ্যাঞ্জেলেসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমরা ইরানের ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। সামরিক অভিযান চালানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, সব পথই খোলা রয়েছে। তবে যুদ্ধ ছাড়াও বিকল্প ব্যবস্থা আছে। তিনি আপাতত যুদ্ধ এড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, নিতান্ত বাধ্য হলে সেই পথে যেতে পারেন তিনি।
এদিকে, এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ‘যথেষ্ট বৃদ্ধি করার’ জন্য মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনির্দিষ্ট, শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপগুলো ঘোষিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। -বিবিসি, সিএনএন
পিবিএ/বাখ