প্রথম পিরিয়ড নিয়ে বিড়ম্বনা!

 

 

পিবিএ ডেস্কঃ আগের দিনে বেশিরভাগ কিশোরী প্রথম পিরিয়ড নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। কারণ প্রায় কারোই এই পিরিয়ড সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। ফলে এক ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। কাউকে পড়তে হয়েছে অনেক লজ্জায়।

আমরা বলছি দিন পাল্টেছে, কিন্তু মেয়েদের জীবনের খুব স্বাভাবিক একটা বিষয় পিরিয়ড, এই বিষয়ে সন্তানের সঙ্গে আজও কি মায়েরা খোলামেলা আলাপ করতে পারছে?

বিশেষ করে মেয়ে সন্তানের জন্য পিরিয়ড সম্পর্কে জানা ও একটা বয়সের পর মোটামুটি প্রস্তুতি থাকা যে কতটা প্রয়োজনীয় এটা সব নারীই বোঝেন। তারপরও অস্বস্তি কাটে না অনেক নারীরই।

অথচ পিরিয়ড নিয়ে প্রথম যদি মায়ের কাছেই শিক্ষা পায় মেয়েটি তবে তার জীবন কত সহজ হতে পারে। অন্য আরও অনেক বিষয়েই সে পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করার মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে।

আর তাই পিরিয়ডের মতো জরুরি বিষয় নিয়ে লজ্জা, ট্যাবু না রেখে সন্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে হবে।

সন্তান বয়ঃসন্ধিতে এলেই এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করুন৷ শরীরিক পরিবর্তন, পিরিয়ড কেন হয়, সেই বিষয়ে বৈজ্ঞানিকভাবেই স্পষ্ট ধারণা দিন সন্তানকে৷

টিভিতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন দেখে আপনার ছোট ছেলেটিও যদি জানতে চায়, তাকে এটা ওটা না বুঝিয়ে খুব সাধারণভাবে বুঝিয়ে বলুন। এতে করে নারীর প্রতি সে সম্মান নিয়ে বেড়ে উঠবে, খামোখা অতি আগ্রহ দেখাবে না।

সন্তানের পিরিয়ড হলে তার স্বাস্থ্যকর, পরিষ্কার থাকার বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। তাকে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন।

পিরিয়ড কোনো অসুখ না, এটা নারী জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই পিরিয়ড হলে বাইরে যাওয়া বন্ধ করে ঘরে বসে থাকারও প্রয়োজন নেই।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...