পিবিএ,সিলেট: এনটিভি’র সিলেটের ব্যুরো প্রধান ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা), সিলেটের সাবেক সভাপতি মইনুল হক বুলবুলকে নগরীর একটি হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায় একদল অস্ত্রধারী। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-বিওজেএ । শুক্রবার বিকেলে বিওজেএ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাংবাদিক সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক এম ইব্রাহীম সরকার তাকে নি:শর্ত মুক্তির দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পর বুলবুলকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। একটি মামলায় কানাইঘাট থানা পুলিশের একটি দল সাদা পোশাকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) আমিনুল ইসলাম।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর উইমেন্স হাসপাতালে পরিচিত এক রোগীকে দেখতে যান মইনুল হক বুলবুল। রোগী দেখা শেষে তিনি হাসপাতালের করিডোরে বসা ছিলেন। এসময় আচমকা সাদা পোশাকে ৬/৭জন অস্ত্রধারী সেখানে গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসে।
এসময় বুলবুলের পাশে ছিলেন সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত শাহ ফরিদী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের করিডোরে বসে আমরা গল্প করছিলাম। আচমকা ৬/৭ জন অস্ত্রধারী সেখানে উপস্থিত হয়। তারা বুলবুলের কাছে তার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় জানানো পরপরই তারা বুলবুলকে ধরে নিয়ে যান। এসময় আমরা অস্ত্রধারীদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলেও তারা কোনো কথা বলেননি।
এদিকে, বুলবুলকে আটকের খবরে রাতে ওইমেন্স হাসপাতালে জড়ো হন সিলেটের সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পুলিশের সাথে কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলে প্রথমে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি কেউ। প্রায় ঘন্টাখানেক পর কানাইঘাট থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের গণমাধ্যম কর্মকর্তা বুলবুলকে গ্রেপ্তারের কথা জানান।
বিওজেএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এভাবে একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিককে তুলে নেয়া কেবল আইনের অপপ্রয়োগই নয়, একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও তারা মনে করেন।
এদিকে বুলবুলকে আটকের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি দাবি করে তারা বলেন, বুলবুলকে আটকের পর পুলিশ প্রশাসনের লুকোচুরিও আমাদের বিস্মিত করেছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মইনুল হক বুলবুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
পিবিএ/এমএসএম