শুভ জন্মদিন মুজিব পরদেশী

পিবিএ ডেস্ক : বাংলা গানের অনন্য অহংকার, পল্লী গান গবেষক, নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী মুজিব পরদেশী ১৯৫৪ সালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানার বেতকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আজ। তার বাবার নাম ইউসুফ আলী মোল্লা।

তার বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে, ‘আমি বন্দী কারাগারে’, ‘বিধি কলমে নাই কালি’, ‘কি স্বপন দেইখা আইলাম ভবে’, ‘আমি কেমন করে পত্র লিখি’, ‘আমার সাদা দিলে কাদা লাগাই গেলি রে বন্ধুয়া’, ‘আমি যার লাগি হইলাম অনুরাগী গো প্রাণসজনী’, ‘আমার জনম গেলো কাঁদিতে’, ‘আমারে নি পড়ে তোমার মনে?’, ‘আমার সোনা বন্ধু রে ইত্যাদি।

শৈশবেই সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ গোলাম হায়দার আলী খান, ওস্তাদ ফজলুল হক, ওস্তাদ আমানুল্লাহ’র কাছে। তবে গায়ক হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন একজন তবলা বাদক। রেডিওতে একজন তবলা বাদক হিসেবেই তার সঙ্গীতে পেশাগত জীবন শুরু হয়। তবলা শিখেছেন ওস্তাদ মনির হোসেন খান ও ওস্তাদ সাজ্জাদ হোসেন খানের কাছে।

এরপর রেডিও টিভিতে সুরকার হিসেবেও তিনি চাকরি করেন। বরেণ্য সুরকার-সংগীত পরিচালক সত্য সাহা, সুবল দাস, ধীর আলী, খন্দকার নূরুল আলমের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। মুজিব পরদেশীর প্রথম এবং সবচেয়ে আলোচিত অ্যালবাম হলো ‘বন্দী কারাগারে’। এখন পর্যন্ত বাজারে তার ৪২টি একক অ্যালবাম রয়েছে। তবে তারও আগে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ‘অশান্ত ঢেউ’ চলচ্চিত্রে।

এরপর তিনি হাফিজ উদ্দিনের ‘অসতী’সহ আরও প্রায় বিশটি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। সর্বশেষ ফিরোজ আল মামুনের ‘দৌড়’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সম্পন্ন করা মুজিব পরদেশী প্রথম অভিনয় করেন সিরাজ হায়দার পরিচালিত ‘সুখ’ চলচ্চিত্রে। সর্বশেষ আশির দশকের শেষপ্রান্তে ফিরোজ আল মামুনের নির্দেশনায় ‘মোহন মালার বনবাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

মুজিব পরদেশী তার সংগীতজীবনের শুরু থেকেই সমাজের মানুষের জন্য কাজ করে থাকেন। যা তিনি নীরবেই করে থাকেন। তিনি মনে করেন, ‘জীবনে যদি মানুষের জন্য কিছু করতে পারি, তবে সেটাই হবে মানুষ হিসেবে আমার জন্মের সার্থকতা।’

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...