‘জয় বাংলা’ বলে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়

পিবিএ,ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘জয় বাংলা’ বলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সোমবার দুপুর বেলা তিনটায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়াবাদী ছাত্রদল এর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এ মন্তব্য করেন৷

বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, হামলাকারীরা ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী ছিলেন। মূলত তার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সোহেল রানাও রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, তার নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা টিএসসির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পেছন থেকে লাঠি নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, আমরা ১১টার দিকে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ক্যাম্পাসে যাই। এসময় ঢাবি শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি আমাদের ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেন। এই কথা বলা অবস্থাতেই ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদের উপর হামলা চালায়।

হামলায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী আপেল মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফারিয়াল, জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের কর্মী ও হল সংসদ এর সদস্য মহসিন আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী সূর্যসেন হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম শপু, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম, সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান সোহান, জগন্নাথ হল সংসদের জিএস কাজল সরকার, জসীম উদ্দিন হল সংসদের জিএস ইমামুল হাসান।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো সকালে মধুর ক্যান্টিনে যাই। সেখান থেকে বের হয়ে টিএসসির দিকে এগোচ্ছিলাম। ঠিক তখনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের পিছু নেয়। পরে তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের মারধরে আমাদের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন, শাহনেওয়াজ, কামরুল, শাহিন, খোরশেদ আলম, সোহেল তাজ, ফিরোজ, মাসুম, মাহবুব শাহিন, ফাহিমসহ আরও অনেকে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...