মোদি-অমিত শাহ ও অজিতকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা

পিবিএ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে টার্গেট করছে জঙ্গিরা, এমন একটি চিঠি পেয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। ওই তথ্য পাওয়ার পরপরই উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠিতে ৩০টি বড় শহরের বিষয়ে হুমকি থাকায় সব রাজ্যে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সীমান্তে কড়া পাহারা সত্ত্বেও ৪৫-৫০ জন জঙ্গির একটি দল ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর, উরি, অবন্তীপোরা, জম্মু, পঠানকোটের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন বায়ু সেনা ঘাঁটিতেও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে ওই জঙ্গিদের। সতর্কতা জারি হয়েছে দিল্লিতেও।

ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জইশের প্রধান মাসুদ আজহার শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় গোটা অপারেশনের দায়িত্বে রয়েছে তার ভাই আব্দুল রউফ।

গোয়েন্দাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের ‘বদলা’ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডোভালের ওপরে আত্মঘাতী হামলা চালাতে প্রস্তুতি নিয়েছে জইশের জঙ্গিরা।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে যে চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানসেনা তার জবাব দিতে প্রস্তুত।

সম্প্রতি পাঞ্জাবের তর্ণ তারণে একটি পোড়া ড্রোন উদ্ধার হয়। তদন্তে দেখা যায়, আধুনিক ওই ড্রোনটির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল পাঞ্জাবে। সেটি পাকিস্তানে ফিরতে ব্যর্থ হওয়ায় জ্বালিয়ে দেয় জঙ্গিরা। ড্রোনটি দ্রুত গতির, ৫ কিলোগ্রাম ওজন বহনে সক্ষম এবং নীচ দিয়ে উড়তে সক্ষম হওয়ায় সেটিকে চিহ্নিত করাও কঠিন।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অন্তত ১০ বার ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পাঠানো হয়েছে পাঞ্জাবে। সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার পরে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। ড্রোন হামলা মোকাবিলায় নীতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়।

এদিকে পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে কড়া পাহারা রয়েছে। তাই সড়ক পথে কাশ্মীরের জঙ্গিদের গোলাবারুদ পৌঁছে দিতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে ড্রোনের সাহায্যে খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের জন্য অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল। তল্লাশিতে একাধিক এ কে ৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...