পিবিএ ডেস্ক: শহুরে জীবনের যান্ত্রিকতা দিনকে দিন বাড়াচ্ছে মানসিক চাপ। সেইসঙ্গে বাড়ছে শারীরিক সমস্যাও। মনের উপর চাপ, সেইসঙ্গে খাওয়ায় অনিয়ম আর শরীরচর্চায় অনীহা- সবমিলিয়ে শহরাঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা এখন নেহাত কম নয়! অনেকেই অবশ্য জানেন না,তবে সঠিক ডায়েট করলে ঝুঁকি কমবে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও কিডনি বিকল হওয়া থেকে। যেমন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ডায়েটে মৌরি পানি ব্যপক ভুমিকা পালন করে থাকে। মৌরি হলো বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বীজ অনেকটা রাঁধুনী বীজের মতো। মৌরির বীজে এন্টিহাইপারটেনসিভ ও অ্যান্টিস্পাসোমডিক থাকে। যা আমাদের দেহের উচ্চ রক্তচাপের স্তরের জন্য আশ্চর্যভাবে কাজ করে। প্রতিরাতে এক কাপ পানিতে এক চা-চামচ শুকনো বা ভাজা মৌরি বীজ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে পান করুন। উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে।
এছাড়াও আরোও কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার ডায়েটে রাখলে আপনি এই সমস্যা হতে প্রতিকার পেতে পারেন। যেমন-
১। পাকা কলা:অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল কলা, যা সারাবছরই পাওয়া যায়। একটি পাকা কলায় ৩৫৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। যা দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য প্রত্যককে একটি করে প্রতিদিন পাকা কলা খাওয়া উচিত।
২। বিটরুট জুস:বিট হলো ক্রিমসন রেড সমৃদ্ধ ফাইবার ও পটাসিয়ামযুক্ত ফল। প্রতিদিন বিটরুটের জুস পান করলে দেহের রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে রক্তচাপ কমে ও শরীর বিষমুক্ত হয়। পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলও কমায়।
৩। অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো উচ্চ ফ্যাট ও ভিটামিনসমৃদ্ধ একটি বিদেশি ফল। পুষ্টিকর আভোকাডোতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে যুদ্ধ করে রক্তচাপ ও ধমনীর চাপকে হ্রাস করে। এটি খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
৪। পালং শাকের স্যুপ: পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’ থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করে। ফলে রক্তচাপ কমায়।
পিবিএ/ইকে