বলতে লজ্জা নেই, আমরা গৃহপালিত বিরোধীদল: বিদিশা(ভিডিওসহ)

বিদিশা সিদিক্কি

পিবিএ,ঢাকা: বার্তা সংস্থা পিবিএ (প্রেস বাংলা এসেন্সি) এর সাথে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক’র ধারাবাহিক স্বাক্ষাতকারের আজ চতুর্থ পর্বে উঠে এসেছে সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকার বিষয়টি। বিদিশা কোন প্রকার সংকোচ ছাড়াই স্বীকার করে নিয়েছেন, জাতীয় পার্টি সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দল। এবং বর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তাদের দিয়ে এই পার্টির বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির বিরোধী দলীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদিশা বলেন, বর্তমানে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের কি দরকার আছে। যেখানে সরকার নিজেই বিরোধী দলের ভূমিকায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল নিজেই নিজের ঘর পরিষ্কার করছে, তারা তাদের চোর ডাকাতগুলো যেখানে আছে সেখান থেকে পরিষ্কার করছে। আমরাতো গৃহপালিত আছি, থাকবোই এটা বলতে আমার কোন লজ্জা নেই।

বর্তমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে দেখলাম সরকারের এবং প্রধানমন্ত্রীর ভালো কাজের প্রসংশা করছে। প্রধানমন্ত্রীকে সাপোর্ট দিয়েছেন, এটা সত্যিকারে বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা পালন করছেন তিনি।

জনগণ জাতীয় পার্টিকে সত্যিকারের বিবলতে লজ্জা নেই, আমরা গৃহপালিত বিরোধীদল: বিদিশারোধী দল হিসেবে দেখতে চায় কিনাে এমন প্রশ্নের জবাবে বিদিশা বলেন, জনগণ বুঝে গেছে এই জাতীয় পার্টিকে দিয়ে হবে না। বর্তমানে যারা পার্টিতে আছেন তাদের দিয়ে এই আশা করা যায় না। বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে যে ভয়েসে কথা বলার দরকার সেই ভয়েস বর্তমান জাতীয় পার্টি নেই।

জাতীয় পার্টির এই অবস্থা থেকে উত্তরণে উপায়ও বলে দিয়েছেন তিনি। তার মতে, বর্তমানে যারা বয়স্ক নেতা রয়েছেন তাদেরকে সরে গিয়ে নতুন জেনারেশনকে সামনে আনতে হবে। আর এটা করতে পারলে জাতীয় পার্টি তার নিজের অবস্থান নিজেই তৈরি করতে পারবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন একদিন তরুণদের হাতেই জাতীয় পার্টির দায়িত্ব আসবেই। আর দেশে বর্তমানে নেতৃত্বের সংঙ্কট তৈরি হয়েছে । তরুণদের না এনে কোন উপায়ও থাকবে না।

https://www.facebook.com/sangbadik.net/videos/2624087584309872/?t=0

বিদিশা সিদ্দিকী তার ব্যক্তিগত কাজের সম্পর্কে পিবিএ’র সাথে কথা বলেছেন, বিদিশা ফাউন্ডেশন নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। নিজের ব্যবসা এবং আত্মীয় স্বজন থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এই ফাউন্ডেশনটি পরিচালনা করেন। এরশাদের হাত ধরেই তিনি এই সকল সামাজিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়েছেন। এবং সমাজের জন্য কাজ করতে তার ভালো লাগে। এই কাজগুলোর মধ্যেই তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারছেন।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...