পিবিএ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সরকার পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ভ্রমণ ভিসা দেয়ার মাধ্যমে তেলের বিকল্প হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে চায় দেশটি।
বিগত বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে তেলের দাম পড়ে গেছে, তা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদনকারী এই দেশটির শাসকদের বাধ্য করছে পরিবর্তনের গতি বাড়াতে। ফলে সৌদি আরবের আয় কমে গেছে অর্ধেক। নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের এখন অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ২০১৭ সালে নতুন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সংস্কারের ঘোষণা দেন। ১৯৭০ দশকে সৌদি আরবে সিনেমাহল থাকলেও পরবর্তীতে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে সেই সিনেমা হলও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পর্যটন থেকে এখন সৌদি আরব আয়ের চেষ্টা করছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে সংস্কার ঘোষণা দিয়েছেন। সপ্তাহ দুয়েক আগেই ড্রোন হামলায় সৌদি আরবের বড় দুটি তেল স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের তেল উৎপাদন নেমে আসে অর্ধেকে। বিশ্ববাজারেও বেড়ে যায় তেলের দাম। ধারণা করা হচ্ছে তেল বাণিজ্যের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
পর্যটন প্রধান আহমেদ আল খতিব বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সৌদি আরবকে উন্মুক্ত করা আমাদের দেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত।পর্যটকরা আমাদের সম্পদ দেখে চমকে যাবেন। ইউনেস্কো স্বীকৃত পাঁচটি হেরিটেজ রয়েছে আমাদের।’
শনিবার থেকে বিশ্বের ৪৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য অনলাইনে ভ্রমণ আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। খতিব বলেন, নারী পর্যটকদের জন্যও তারা পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করবে। তবে তাদের অবশ্যই ‘মার্জিত পোশাক’ পড়তে হবে।
সৌদি আরবে রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণ এতটাই কঠোর যে সেখান পরিবর্তনের গতি খুবই ধীর। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে তেলের দাম পড়ে গেছে, তা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদনকারী এই দেশটির শাসকদের বাধ্য করছে পরিবর্তনের গতি বাড়াতে।
পিবিএ/ইকে