পিবিএ ডেস্ক: শারদীয় দুর্গোৎসবের পূন্যলগ্নের সূচনা মহালয়া আজ। পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু। চণ্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে আজ ভোর বেলা থেকেই শুরু হবে দেবী দুর্গার আবাহন। বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ হচ্ছে দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। রাজধানীসহ দেশের মন্দিরগুলোতে চলছে তাই সাজ সাজ রব।
রাজধানীর ইস্কাটনের সার্বজনীন দুর্গা পূজা মণ্ডপের সহকারী পুরোহিত পংকজ চক্রবর্তী বলেন, বছর ঘুরে আবারো ঊমা দেবী আসছেন তার বাপের বাড়ি। হিমালয়ের কৈলাশে স্বামী শিবের সঙ্গে তার বাস। সেখান থেকেই সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে আসেন সমতল ভূমিতে। সঙ্গে নিয়ে আসেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্ত্তিক আর গণেশকে। প্রতিবছর শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমনকে আমরা বলে থাকি শারদীয় দুর্গোৎসব। হিন্দু শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত।
মহালয়ার ইতিহাসে জানা যায়, এটি দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদিন গঙ্গাতীরে প্রার্থনা করে ভক্তরা মৃত আত্মীয়স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন। রাজা সুরথ সর্বপ্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তকালে তিনি এই পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। শ্রী রামচন্দ্র রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজাকে হিন্দুমতে অকালবোধনও বলা হয়। এই দিনে দেব-দেবীকুল দুর্গা পূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। আজ ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও চণ্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন হবে। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি জানান, আজ ভোরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়া কার্যক্রমের শুভ সূচনা করবেন। এছাড়া আগামী ষষ্ঠী পূজার দিন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা করবেন। নবমীর দিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দুর্গোৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সব ধর্ম ও শ্রেণির বাঙালির মধ্যেও। পূজার আনন্দে মাতোয়ারা বাঙালি জাতি। মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা সাজসজ্জার কাজ। দেবী মূর্তি নির্মাণ শেষ, গায়ে রঙ ছোঁয়ানোর অপেক্ষায় দক্ষ ভাস্কর, নিপুণ শিল্পী