ভাগ্য ফিরছে ঝিনাইদহের পান চাষিদের

পিবিএ,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হাজারো চাষি লাভের মুখ দেখছেন পান চাষে। এ জেলার পান দেশের বড় একটা চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পান আমদানি না করে পানের নতুন ও উন্নত জাত আবিস্কার এবং লাগসই প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা দরকার। এতে দেশে পানের সরবরাহ যেমন বাড়বে, ভোক্তারাও উন্নতমানের পান পাবেন আর কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হবে।

ঝিনাইদহের বেশ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে গ্রামের পর গ্রামে পানের দৃষ্টিনন্দন বরজ দেখা যায়।
ভবানিপুরের কালিতলাপাড়ার পান চাষি আহমেদ আলী বরাবরের মত এবারও এক বিঘা জমিতে পান চাষ করছেন। তার মতে, এবছর পান চাষে খরচ বাদে তিনি কমপক্ষে দেড়লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন।
আরেক পান চাষি জানালেন ৪ বিঘা জমিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। পানের বরজ মেরামত, সার, বীজ, খইল, সেচ ও দিনমজুরের খরচ বাদেও কমপক্ষে ৮ লাখ টাকা লাভ হবে বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, একজন কৃষকের দেড় থেকে দু’বিঘা জমিতে পানের বরজ থাকলে এবং তার সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করতে পারলে ৫-৬ বছরেই বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়া যাবে।
ভবানীপুর পান বাজারে বাজার মালিক সমিতির নেতাবলেন, ঝিনাইদহের পান জেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, শমসেরনগর, নবীগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। কিন্তু এলসির মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশ থেকে পান আমদানি করায় পান চাষিরা প্রতিবছরই ক্ষতির সম্মুখিন হয়। তারা উপযুক্ত দাম পায় না। তিনি কৃষক ও কৃষির স্বার্থে অবিলম্বে পান আমদানি বন্ধের দাবি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতবছর জেলায় ২ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে ২৫,০৮৪ টন পান উৎপন্ন হলেও এবার তা ২ হাজার ৪০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে। ফলে উৎপাদনও বাড়বে। দেশে উৎপাদিত পানের প্রায় ৭০ ভাগই এ জেলায় উৎপন্ন হয়।

পিবিএ/এ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...