পিবিএ ডেস্ক: কাশ্মিরের সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্সের (এপিএইচসি) প্রধান সাইয়েদ আলি গিলানি বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য কাশ্মিরের যুবক, তরুণ, বৃদ্ধসহ শিশুরা পর্যন্ত নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছে, এ আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে পারে না। খুব শিগগিরই স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য উদিত হবে।
গত সোমবার গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কাশ্মিরি জনগণের প্রতি লেখা এক চিঠিতে ভারতের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। কাশ্মিরিদের উদ্দেশে এ হুররিয়ত নেতা বলেন, নিজেদের অধিকার রক্ষায় আপনারা ত্যাগ স্বীকার করছেন, এ ত্যাগ কখনো নিষ্ফল হবে না। সাইয়েদ আলি গিলানি আরো বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শিগগিরই কাশ্মির স্বাধীনতা লাভ করবে। নিজেদের আত্মপরিচয়, ধর্ম ও জাতীয়তার বিষয়ে কোনো সমঝোতা করা যাবে না। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে জম্মু, কাশ্মির ও লাদাখের প্রতিটি নাগরিককে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো এক থাকতে হবে। কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই ভাগ করে ফেলার পর থেকেই গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন হুররিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। এর আগে ভারতীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ ও কাশ্মিরের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে পাঁচ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
গিলানির ওই পাঁচ দফা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ভারতীয় নৃশংসতার বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মিরের নাগরিকদের সাহসিকতার সাথে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ, নিজেদের আত্মরক্ষার্তে সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের প্রতিবাদ, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কাশ্মিরিদের দূত হিসেবে কাজ করা, কাশ্মিরিদের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রতিবেশী পাকিস্তানের এগিয়ে আসা এবং জম্মু ও লাদাখের বাসিন্দাদের নিজস্ব পরিচয় ধরে রাখা।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রায় দুই মাস পর জম্মুর গৃহবন্দী সব রাজনীতিককে মুক্তি দিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। কিন্তু কাশ্মির উপত্যকার রাজনীতিকদের বন্দিত্ব বজায় রাখা হয়েছে।
পিবিএ/বাখ