শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান দুবাইতে গ্রেপ্তার

পিবিএ ডেস্ক: দেশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুবাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ করছে। তারা জানিয়েছে যে, জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুবাই কর্তৃপক্ষ তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছে। সেই পাসপোর্টে তার নাম বলা হয়েছে আলী আকবর চৌধুরী। উল্লেখ্য, দেশের গত এক দশকের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন হলো জিসান আহমেদ। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো সে। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির একাধিক মামলা ছিল তার নামে। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে হত্যাকাণ্ড এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ আছে।

২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগে জিসানকে গ্রেপ্তার অভিযানকালে তারই সহকর্মীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ওই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত হলে জিসান ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তিনি দুবাইয়ে পাড়ি জমান।

সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর জিসানের নাম আবার নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে।

জিসান দীর্ঘদিন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। সেখানে বসেই দেশের অপরাধ জগতের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। পুলিশ জানায়, জিসানের বিষয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে চিঠি চালাচালি শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিস (সোয়াত)। ইন্টারপোলের সবুজ সংকেত পেলে পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল দুবাই যেতে প্রস্তুত।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...