কনডম ব্যবহারের কারণেই ক্ষতির মুখে পর্নোগ্রাফি ব্যবসা

পিবিএ ডেস্ক: পর্নোগ্রাফি ছবি ব্যবসার দুনিয়ায় ধ্বস নেমেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্মাতারা৷ তাদের অভিযোগ ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পর্নোছবিতে পুরুষ অভিনেতাদের কন্ডোম ব্যবহার আইনত বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়ার ফলেই ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

মূলত এইডস রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে লস অ্যাঞ্জেলসের পর্নো অভিনেতাদের কন্ডোম পড়ে অভিনয় আইনত বাধ্যতামূলক করা হয়৷ আইনজ্ঞরা মনে করেন, এই এইন কার্যকরী হলে এই ধরণের ছবি যারা দেখছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে৷ যেমন এই আইন প্রণয়র হয় সে বছর আইন হওয়ার আগে লস অ্যাঞ্জেলসের প্রায় ৪৮০টি পর্নো ছবি নির্মাণ করা হয়৷ তবে এই আইণ কার্যকর হওয়ার পর কন্ডোম ব্যবহার করার ফলে ২০১৩ সালে মাত্র ৪০ টি ও ২০১৪ সালের এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০টি পর্নো ছবি তৈরি করা হয়েছে৷

পর্নোগ্রাফি প্রযোজনা কোম্পানি ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা স্টিফেন হার্শ জানিয়েছেন, ২০১২ সালের নভেম্বরে এই নতুন আইন প্রনয়ণের পর তারা লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টিতে একটিও পর্নোছবি তৈরি করেননি৷ তবে কেবল এই অ্যাঞ্জেলিস কাউন্টিতেই এই আইন জারি করা হয়েছে৷ স্টিভেন জানিয়েছেন, পর্নোছবি তৈরি করার আগে অভিনেতা অভিনেত্রীদের শরীরে এইচ আইভি পরীক্ষা করে তবেই নেওয়া হয়।

এর ফলে এইডস ছড়ানোর কোন ভয় ছিল না৷ যে অভিনেতাদের এইচআইভি থাকত তাদের বাদ দেওয়া হত৷ এছাড়াও এই ছবিতে যারা অভিনয় করেন তারা কন্ডোম ব্যবহার করতে চাননা৷ এগুলি ব্যবহারের ফলে অভিনেতারা সাবলীল ভাবে অভিনয় করতে পারেননা বলেও অভিযোগ অভিনেতাদের৷ স্টিভেন জানান, এই ছবির দর্শকরাও অভিনেতাদের কন্ডোম পড়ে দেখতে চাননা৷ এই কারণেই প্রযোজকদের একটি দল এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে আবেদন করতে চলেছে।

লস অ্যাঞ্জেলসে পর্নোমু্ভির ব্যবসা অনেক বড়৷ অন্তত ১০ হাজার মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত৷ এই ব্যবসার বছরে আয় প্রায় কয়েকশো কটি টাকা৷ যদিও ২০১৩ সালে পর্নো অভিনেতাদের পাঁচ জনের শরীরে এইচআইভি জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল৷ স্টিভান জানান, ছবির বাইরে অভিনেতাদের অসুরক্ষিত যৌন জীবনের কারণেই তাদের এইডস হচ্ছে৷ এইডস হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মিশেল ভাইস্টাইন জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এইডস নয়, যৌন সম্পর্কের ফলে বিভিন্ন রোগ একে অপরের শরীরে ছড়াতে পারে৷ এই কারণকে মাথায় রেখেই নতুন এই আইন জারি করা হয়েছে।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...