পিবিএ ডেস্ক: ইরাকে টানা পাঁচদিনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত প্রায় ১শ’ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ধরনের ‘অর্থহীন প্রাণহানি’ বন্ধে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সংঘাত অবসানে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইরাকে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনের প্রধান জিনিন হেনিস-প্লাসশের্ট বলেন, ‘পাঁচদিন ধরে হতাহতের ঘটনা চলছেই, এটা থামানো দরকার।’
সেই সঙ্গে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলেছেন তিনি।
বিবিসি জানায়, হামলা-পাল্টা হামলায় আহত অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালে রক্ত এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার রাজধানী বাগদাদসহ শিয়া অধ্যূষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
শনিবার বাগদাদের একটি র্যালিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী ভিড় লক্ষ্য করে আসল গুলিও ছোড়ে বলে অভিযোগ করেছেন আহত বিক্ষোভকারীরা। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে ৫ জন নিহত হয়।
ইরাকের নাসিরিয়া অঞ্চলে কমপক্ষে ৬টি কয়েকটি রাজনৈতিক কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বাগদাদে আল আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশনের কার্যালয়ে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
চাকরি সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার পর্যন্ত ৯৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার।
পিবিএ/বাখ