পিবিএ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নজরদারি আরও বাড়াতে যাচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত বঙ্গোপসাগরে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ২০টি রাডার সিস্টেমের একটি নেটওয়ার্ক বসাবে ভারত।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই নেটওয়ার্ক সমুদ্রপথে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা শনাক্ত করতে নয়াদিল্লিকে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে প্রতিবেশীদের নৌ-সীমানায় দৃষ্টি রাখতে পারবে, যেখানে চীনের লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন) গত কয়েক বছর তাদের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এগুলোর মধ্যে ছিল উপকূলে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা (কোয়েস্টাল সারভাইল্যান্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক।
খবরে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নজরদারির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মোট ২০টি রাডার সিস্টেমের নেটওয়ার্ক বসাবে ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড বলছে, বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত মহাসাগরের অন্য দেশগুলো যেমন- মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, সিসিলি এবং মালদ্বীপে উপকূলীয় নজরদারির এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করছে নয়াদিল্লি। এর আগে ২০১৫ সালে কোয়েস্টাল সারভাইল্যান্স সিস্টেম-সিএসএস এর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেছিল নয়াদিল্লি। তবে তখন বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরির আশঙ্কা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল ঢাকা।
পিবিএ/বাখ