পিবিএ,ঢাকা: ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফর র্মেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআইটি) এর বিশ্ব সম্মেলন ২০২১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতহবে বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন । ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও ডিজিটাল অর্থনৈতিতে বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে দ্রুত ডিজিটাইজড হওয়ায় আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আরমেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে কানের ডেমিরচায়ান কমপ্লেক্সে আয়োজিত “ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি–২০১৯” (ডব্লিওসিআইটি) এর মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ড টেবিল আলোচনায় এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান ডব্লিউ সি আই টি এর মহাসচিব জেমস পয়জান্টস গতকাল সম্মেলন উদ্বোধন কালে ঢাকায় এ সম্মেলন হওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন ২০২১ সালে ডব্লিউ বি আই টি এ এর হোস্ট কান্ট্রি হয়ায় আমরা গর্ববোধ করছি।
মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ড টেবিল আলোচনায় পলক বলেন বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া শুরুর সাথে সাথে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক পরিবেশ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিযোগীতা মূলক ও প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন এ তীব্র প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে আমাদেরকে প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর অর্থনীতিতে রুপান্তর ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন সামনের দিনগুলোতে তথ্য প্রযুক্তির সব সুবিধা পৃথিবীর সবাই যেন পেতে পারে এবং প্রত্যেকের নিকট প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়া যায় সেই লক্ষ্যে সমন্বিত প্রয়াসে কাজ করতে হবে।
মিনিস্ট্রিয়াল সেসনে অন্যান্যের মধ্যে আরমেনিয়ার হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক মন্ত্রী হাকোব আরশাকায়ান, মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কস প্রতিমন্ত্রী মিস্টার জোহায়ের, কম্বোডিয়ার কমিউনিকেশন ডিপুটি মিনিস্টার মিস মেরিন নিকোলো, ইরানের কমিউনিকেশন মিনিস্টার ইয়াহুসি সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীগন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স এর মহাসচিব ডা. জেমস এইচ উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের সকলেরই সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ডিজিটাল যুগের বিবর্তন করা উল্লেখ করে পলক বলেন বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিযোগীতা মূলক আন্তর্জাতিক মানের দেশ হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
আইসিটি খাতের ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন ইন্টারনেট অবকাঠামো, শিক্ষার হার, খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন, সকলের জন্য বিদ্যুৎ ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়াসহ হাই–স্পীড ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট সেবা, কানেক্টিভিটি, সফট্ওয়্যার এক্সপোর্ট, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা প্রসার ঘটানো, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন সেবা লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন ভিশন ২০২১ এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে তথা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সম্পদশালী ও আধুনিক অর্থনীতির দেশ হিসেবে উন্নীত করার কৌশল বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন।
ডব্লিউসিআইটি হচ্ছে, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস এর অ্যালায়েন্স। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন। এতে সংগঠনে পৃথিবীর ৯০ টি দেশের আইসিটি বিষয়ক ও সহযোগী সংগঠন এতে প্রতিনিধিত্ব করে।
পিবিএ/ইকে