পিবিএ ডেস্কঃ আপনি একা থাকছেন, অনেকে মিলে কোনও পরিকল্পনা হলে তা বাতিল করছেন- নিজেকে নিয়ে ভাবুন, সমস্যা কিন্তু জটিল হচ্ছে মিশতে ভয় লাগে? ভিড় এড়িয়ে চলেন? অনেকে একসঙ্গে থাকলে কী কথা বলবেন বুঝে পান না? অজানা কারো সাথে কথা বলতে গেলে নার্ভাস লাগে? এসবই আসলে সামাজিক উদ্বিগ্নতার ফল। ঘন ঘন যদি এমন হয় যে আপনি একা থাকছেন, অনেকে মিলে কোনও পরিকল্পনা হলে তা বাতিল করছেন- নিজেকে নিয়ে ভাবুন, সমস্যা কিন্তু জটিল হচ্ছে। সামাজিক উদ্বিগ্নতা কাটাতে পারেন এই পাঁচটি উপায়ে। দেখে নিন এক ঝলকে
ভালো করে শ্বাসপ্রশ্বাস নিনঃ শুনতে অবাক লাগলেও সামাজিক উদবিগ্নতা কাটাতে ভালো করে শ্বাস নিন। জোরে জোরে শ্বাস গ্রহণ করুন, শ্বাস ত্যাগও করুন। কয়েকমিনিটের এই ব্যায়ামে আপনার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখবে। টেনশনে ঘাম হবে না।
আত্মবিশ্বাসী হনঃ যারা সামাজিক উদ্বিগ্নতায় ভোগে তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুঝতে পারেন না কীভাবে অন্য লোকেদের সাথে আচরণ করা উচিৎ। সহজেই পারবেন। যার সাথেই কথা বলবেন তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন, দৃঢ়ভাবে হ্যান্ডশেক করুন, অভিবাদন জানান, মেসেজ না করে ফোনে কথা বলুন।
নিজেকে জোর করে সরাবেন নাঃ নিজেকে একটি সম্পূর্ণ অজানা পরিস্থিতিতে নিয়ে গেলেই যে সমস্যা কমে যাবে তা নয়, উলটে খারাপ হতে পারে ফল। দুম করে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না কোনও কিছু থেকেই কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার কম্ফোর্ট জোন বানান। প্রথমে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, তারপর আরও একটু কম সংখ্যক মানুষের সাথে, তারপর আরও কম এবং হয়ত তাঁর পরে গিয়ে নিজের সাথে সময়ের জন্য প্রস্তুত হন।
ওয়ার্কআউট করুনঃ অতিরিক্ত চিন্তা শুধুমাত্র সামাজিক উদ্বেগ বাড়াতেই পারে। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন দুশ্চিন্তা। ব্যায়াম করুন, ওয়ার্ক আউটে সময় দিন বা মুদিখানার বাজার করুন। নিজেকে এই কাজে ব্যস্ত রাখলে অ্যাড্রেলালিন ক্ষরণ কমবে, উদ্বেগও কমবে পাল্লা দিয়ে।
শুনুনঃ যদি আপনি ভিড়ের মধ্যে কথা বলতে না চান, তাহলে শুনুন। সবাই তাদের মনের কথা শেয়ার করতে চায়, ভালো শ্রোতা হওয়া বড় গুণ।
এই টিপসগুলি মেনে চললে অনেকটা পরিমাণে সামাজিক উদ্বেগ কমাতে পারেন আপনি। একান্তই কোনও উপকার না পেলে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে দেরী করবেন না।
পিবিএ/এমআর