পিবিএ ডেস্কঃ শারীরিক যে কোনও রোগের মূলেই যে মানসিক চাপ একটা বড় কারণ এই নিয়ে আর সন্দেহই নেই। মজার বিষয় হল, সবটা জেনেও, প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ সহ্য করেও আমরা ব্যাপারটাকে এড়িয়েই যাই। মানসিক চাপ থেকে শরীরে ক্লান্তি আসবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সঠিক সময়ে সতর্ক না হলে বিপদ আরও বাড়বেই। খিটখিটে হয়ে যাওয়া, সবসময় ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, ছাড়াও বড় শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে তাই সচেতন হোন।
বিভিন্ন মানুষের মানসিক চাপের কারণ কিন্তু আলাদা। আর চাপ আসবে না জীবনে এমনটা তো হতেই পারে না। তাই ভবিতব্য বলে মেনে নিয়ে বসে থাকার চেয়ে চাপ কমানোর বা চাপের মোকাবিলা করার কথা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। সামান্য কিছু পরিবর্তন আনুন জীবন যাপনে। তাতেই চাপের মুখেও ভেঙে পড়বেন না।
যোগা, ব্যায়াম, মেডিটেশন করুনঃ হাঁটুন, দৌড়ান, সাঁতার কাটুন- যা যা করলে শরীরের ব্যায়াম হয় তাই তাইই শুরু করুন। ব্যায়ামে শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয় যা মাথা ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। দিনে 45 মিনিট বের করুন নিজের জন্য। বিশ্বাস করুন, মন ভালো থাকবেই।
জীবন আর কাজ দুই ক্ষেত্রই একটু গুছিয়ে আনুনঃ কাজের ক্ষেত্রে সময় ম্যানেজ করুন, কাজের গুরুত্ব বুঝে সময় মেপে চলুন। নিজের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বুঝতে হবে নিজেকেই। নাহলে জীবনের ক্ষেত্রেও সমস্তই গুলিয়ে যাবে।
খাবারে শাক ও হার্বসের সংখ্যা বাড়ানঃ অশ্বগন্ধা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদেও বলা হচ্ছে অশ্বগন্ধা শরীর ও মনে চনমনে ভাব আনে, শারীরিক ক্লান্তি তো বটেই মানসিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এটি। ল্যাভেন্ডার, তুলসী, ব্রাহ্মীশাকেও একই উপকারপাবেন।
সঠিক খাবার খানঃ কী খাচ্ছি কতটা খাচ্ছির উপরেও কিন্তু মানসিক চাপ নির্ভর করে। পুষ্টিগুণ বেশি এমন খাবারের সংখ্যা বাড়ান। শাকসব্জি বেশি খান, ফল, দানাশস্য, ভিটামিন আছে এমন খাবার রোজ পরিমাণ মতো খান। মনে রাখতে হবে শরীর আর মনের যোগসূত্র অদ্ভুত। শরীর সুস্থ থাকলে তবেই মনও ভালো থাকবে।
পর্যাপ্ত ঘুমঃ মানসিক চাপ কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। কম ঘুম ক্লান্তি বাড়ায়, খিটখিটে করে তোলে। আবার অতিরিক্ত ঘুমেও ক্লান্তি আসে, মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়। 7 থেকে 8 ঘণ্টা নিয়ম করে ঘুমোন।
পিবিএ/এমআর