পিবিএ ডেস্ক: চল্লিশেই চালশে? চালশে না হোক, চল্লিশ পেরনো মানেই শরীরে অনেক বদল আসা। তারই মধ্যে অন্যতম আপনার হাঁটার গতি কমে যাওয়া। লন্ডনের কিংস কলেজে সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ, ৪০এর কোঠায় পা রাখলে যে কটি পরিবর্তন দেখে নিজের শরীরের পরিস্থিতি সহজেই বুঝে নিতে পারবেন, তার মধ্যে এটি অন্যতম একটি চিহ্ন।
রক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তি, ফুসফুস, মেরুদণ্ডের একাধিক পরীক্ষা – বয়স চল্লিশ পেরলে এসব তো লেগেই থাকবে। রিপোর্ট দেখে ডাক্তারের মুখ গম্ভীর, হাজার একটা পরামর্শ, বেঁধে দেওয়া ডায়েট। কিন্তু এসব পরীক্ষা না করে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যে বদল আসছে এবং কী কী বদল আসছে। গবেষকরা বলছেন, নিজের হাঁটার গতি ভাল করে পরখ করুন। যদি দেখেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমছে, বুঝবেন বার্ধক্য থাবা বসিয়েছে আপনার শরীরে। শুধু হাঁটার গতিই নয়, মুখমণ্ডলের ত্বক এবং চিন্তাশক্তিও আপনাকে বলে দেবে, সত্যিই আপনি বুড়িয়ে যাচ্ছেন কি না।
শরীরই নয়, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আপনার মস্তিষ্কও ধীরে ধীরে কম কাজ করতে শুরু করে। আর যদি তাইই হয়, সেক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আবার গবেষণায় এও জানা গিয়েছে, হাঁটার গতি কমার সঙ্গে সঙ্গে বয়সটাও খেয়াল রাখতে হবে। যদি দেখা যায়, চল্লিশে পৌঁছনোর আগেই তা কমছে, তাহলে অকালেই আপনি বুড়িয়ে যাচ্ছেন বলে ধরে নিতে হবে।অনেকেরই ৪০এ পৌঁছনোর আগে হাঁটার গতি কমছে। আবার উলটোটাও রয়েছে। যেমন, ৪৫ বছরের বেশি কারও হাঁটার গতি একেবারে তিরিশের মতো। তার মানে, তাঁদের কাছে বয়স কেবলই একটা সংখ্যা। শরীরে ছাপ ফেলতে পারেনি বার্ধক্য। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও অনেক সবল থাকে।
আবার মস্তিষ্কের সক্রিয়তাও বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যাঁরা একটু বেশি মাদক নেন বা নেশা করেন, তাঁদের মস্তিষ্কের ক্রিয়া একটু বয়স বাড়লেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর যাঁরা বরাবর যথাযথ জীবনযাপনে অভ্যস্ত, যেমন – নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা করে থাকেন, তাঁদের মস্তিষ্কও অনেক বেশি সক্রিয় থাকে বয়স বাড়লেও। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সময় থাকতেই জীবনযাত্রায় বদল আনুন। বার্ধক্য সহজে কাবু করতে পারবে না।
পিবিএ/এমআর