পিবিএ ডেস্কঃ দাঁতে ক্ষয় (Tooth Decay)? কমবেশি সবারই হয়। খুব সাধারণ কিছু কারণ এর জন্য দায়ী। দাঁতের ওপরের এনামেল উঠে যাওয়াকেই ডাক্তারি ভাষায় দাঁতের ক্ষয় বলে। বেশি মিষ্টি খাবার দুধ, পাউরুটি, কেক, পেস্ট্রি বেশি খেলে দাঁত দ্রুত ক্ষয়ে যায়। এছাড়া, দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা জীবাণু আর খাবার এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে। এতেও দাঁত ক্ষয়ে যায়। কীভাবে এই ক্ষয় আটকাবেন (Prevention)? জেনে নিন এই নিবন্ধ থেকে—
দাঁতের ক্ষয়ের কয়েকটি সাধারণ কারণ
দাঁতের যত্ন না নেওয়া: নিয়মিত দাঁত না মাজলে এবং মুখ না ধুলে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার দাঁতের ক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই দিনে দু-বার দাঁত ব্রাশ অতি জরুরি।
শুকনো মুখ: মুখের লালা অনেক সময় দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। দাঁতের গায়ে জমে থাকা জীবাণু বা খাবার ধুয়ে দিয়ে। তাই যাঁদের মুখে লালা কম তাঁরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।
শারীরিক অসুস্থতা: লিভারের সমস্যা থেকে বারবারে যাঁদের বমি হয় তাঁদের দাঁত দ্রুত ক্ষয়ে যায়। একে বলে বুলিমিয়া।
খাবার-পানীয় থেকে: অতিরিক্ত মশাল বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। কারণ, এই ধরনের খাবার থেকে বেশি অ্যাসিডিটি বা অম্বল হয়। এবং অ্যাসিড দাঁত ক্ষইয়ে দেয় ঝটপট।
জীবাণু সংক্রমণ: দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণু দাঁতের ক্ষয়ের বড় কারণ। তাই কিছু খাওয়ার পরেই মুখ ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
দাঁতে ক্ষয় রোধের উপায়
১. রোজ দিনে দু-বার দাঁত ব্রাশ করুন। টুথপেস্ট ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ কিনা দেখুন। লাঞ্চ আর ডিনারের পর দাঁত ব্রাশ করা সব থেকে ভালো।
২. ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ মাউথওয়াশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। এতে দাঁতের ফাঁকে জীবাণু কম জন্ম নেবে।
৩. পুষ্টিকর খাবার খান। ক্যাডবেরি, মিষ্টি, মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। একান্তই লোভ সামলাতে না পারলে খাওয়ার পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
৪. ব্রাশিংয়ের মতো ফ্লোশিংটাও খুবই জরুরি। এতে দাঁতের ক্ষয় কম হয়। তাই রোজ ব্রাশিংয়ের পরেই ফ্লোশিং করুন।
৫. ফ্লোরাইড সমৃ্দ্ধ পানি পান করতে পারলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
পিবিএ/এমআর