যে কারনে পারিবারিক পছন্দের বিয়ের উপকারিতা বেশী

পিবিএ,ডেস্ক: টাইমস অব ইন্ডিয়া সম্প্রতি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের উপকারিতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যারা তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চান, তারা পত্রিকাটির পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

১. ধীরে ধীরে ভালোবাসা বাড়ে

নিজের ইচ্ছায় যাকে বিয়ে করবেন, তাকে বহুদিন ধরে চেনেন। বিয়ের পর খুব তাড়াতাড়ি তাই একঘেয়েমি চলে আসার সুযোগ থাকে। সবার ক্ষেত্রে যে এটি হয়, ব্যাপারটি তেমন নয়। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রে হয়।

কিন্তু পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করলে যত দিন যাবে, তত সঙ্গীকে আপনি নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন। তাতে বাড়বে ভালোবাসা।

২. বাবা-মা আপনার ভাল চান

যার বিয়ের আলোচনা চলছে, ২ নম্বর বাক্যটি হয়তো তিনি দিনরাত শুনছেন। আপনি বিরক্ত হলেও কথাটি কিন্তু চিরন্তন সত্য। কখনো কোনো মা-বাবা সন্তানের অমঙ্গল চান না। সংসার কতটা কঠিন, তা তারাই ভালো জানেন। আর্থিক টানাপোড়েন কীভাবে ভালোবাসাকে নষ্ট করে দেয়, তা আপনার থেকে তারাই বেশি অনুধাবন করতে পারেন। তাই পিতামাতার উপর ভরসা রাখতে পারেন। ভবিষ্যতে কিছু হয়ে গেলে আপনার যাওয়ার জায়গা থাকবে।

৩. বিয়ের পরে প্রেমের সুযোগ

বিয়ের আগে যেমন প্রেম হয়, প্রেম হয় বিয়ের পরেও। পরের প্রেমটি আবিষ্কার করে নিতে হয়। এই পথের সন্ধান একবার পেয়ে গেলে জীবন হয় মধুময়। অচেনাকে একবার চিনে গেলে, তার মতো সুখ কোটি টাকায়ও মেলে না!

৪. অনুকূল পারিবারিক সংস্কৃতি

পরিবারের মতে বিয়ে মানেই সঙ্গীর পারিবারিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতির খোঁজখবর নিয়ে বিয়ে। এতে নতুন আত্মীয়দের সঙ্গে আপনার মানিয়ে নেয়াটা সহজ হয়। অদ্ভুত আচার, বিস্ময়কর কোনো নিয়মনীতিতে পড়ার শঙ্কা কম থাকে।

৫. অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ মানেই জোর করা নয়

অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ অনেকের কাছে জোর করে বিয়ে দেয়া মনে হতে পারে। বিষয়টি কিন্তু তা নয়। বিয়ে আপনি যেভাবেই করুন না কেন, ‘পছন্দ’ জিনিসটা থাকতেই হবে। পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করলে আপনি একাধিক বিকল্প থেকে নিজের মনের মতো কাউকে বেছে নিতে পারবেন। সবার পরামর্শ নিতে পারবেন। নিশ্চয়ই জানেন, নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পিবিএ/জেআই

 

আরও পড়ুন...